বিশ্বরঙের তিন দশক
উদ্যোক্তা ভূমির উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী পোশাক প্রদর্শনী উদ্বোধন

ছবি-সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১:৫৩ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৪:৪০
দেশীয় ফ্যাশন শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠান ‘বিশ্বরঙ’র তিন দশক উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল খাতের উদ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী ‘শীতের হাওয়া’। বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
বুধবার প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বরঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহা, জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী শিবলী মুহম্মদ ও শামীম আরা নিপা, অভিনেত্রী অপি করিম, পোশাক খাতের উদ্যোক্তা নীল কমল বসাকসহ আরও অনেকে।
‘বিশ্বরঙ’-এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। শুরুর দিকে ‘বিশ্বরঙে’ চারুকলার শিক্ষক মরণ চাঁদ পালের কাছ থেকে সিরামিকসের সামগ্রী এনে বিক্রি করা হতো। সঙ্গে চলত বিয়েবাড়ির স্টেজ ও আল্পনার কাজ। ১৯৯৫ সালে এতে যুক্ত হয় শাড়ি। তবে প্রাথমিক সাফল্য আসে পাঞ্জাবিতে। তিন দশকে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শত শত তাঁতি পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছে। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ও ডিজাইনারদের অংশগ্রহণ এবং বিশ্বরঙের কর্ণধার ও ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি।
প্রতি মাসেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত হচ্ছে ‘বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমির আড্ডা’। এখানে উদ্যোক্তারা পাচ্ছেন সুপরামর্শ। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১৬ জনকে নিয়ে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় ‘শরৎ হাওয়া’ শিরোনামে দুই দিনের প্রদর্শনী। সেই ধারাবাহিকতায় ‘বিশ্বরঙ’র ৩০ বছর উপলক্ষে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের প্রায় ১ হাজার ৫০০ উদ্যোক্তা থেকে বাছাই করে ৩০ জনকে নিয়ে গতকাল ঢাবির চারুকলা অনুষদে জয়নুল গ্যালারিতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী ‘শীতের হাওয়া’। প্রদর্শনী আগামী ১৮-২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
বিশ্বরঙের কর্ণধার ও ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহা বলেন, উদ্যোক্তা হিসেবে আপাদমস্তক শিল্পসত্তায় পরিপূর্ণ হতে চেয়েছি বারবার। মুক্তবাজার অর্থনীতির এ অস্থির সময়েও নিজস্ব শিকড়ের সন্ধান করতে গিয়েই ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে দেশীয় তাঁতকে প্রাধান্য দিয়েছি সবসময়।
তিনি বলেন, এ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শখের হাঁড়ি, মুখোশ, নকশিপাখা, বাংলার পটচিত্র, বাংলা পঞ্জিকা, ঐতিহ্যে বাংলা সিনেমা, পানাম নগর, কান্তজিউ মন্দিরের টেরাকোটা, রিকশা মোটিফসহ আল্পনার মতো মোটিফকে পোশাকের অলংকরণ হিসেবে ব্যবহার করে দেশীয় ফ্যাশনকে নিয়ে যেতে চেয়েছি সমৃদ্ধির শিখরে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় ফ্যাশনকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের মিশেলে প্রদর্শন করেছি আমেরিকা, ভারত, মালয়েশিয়া, কানাডার মতো দেশে।
- বিষয় :
- ফ্যাশন