ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত থামাতে ভারতের উচিত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া: মমতা ব্যানার্জি

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত থামাতে ভারতের উচিত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া: মমতা ব্যানার্জি

মমতা ব্যানার্জি। ছবি-ভিডিও থেকে নেওয়া

কলকাতা প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫ | ১৪:৪০ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ | ১৪:৫৭

পশ্চিম এশিয়ার দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত ও শত্রুতা বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন বিশ্বের অনেক জায়গায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই ধরণের ঘটনায় বায়ু ও পানি দূষণের মাত্রা বাড়ছে। আমাদের এটি বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র বিষয় ভারত সরকারের আওতাধীন। কূটনৈতিকভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে, আমাদের অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে যাতে যুদ্ধ বন্ধ হয়। মমতা বলেন, বৈদেশিক বিষয় এবং কূটনৈতিক বিষয়ে কথা বলার আমার কোনো অধিকার নেই। বিশ্বের একজন উদ্বিগ্ন নাগরিক হিসেবে এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

ভারতের ঐতিহাসিক কূটনৈতিক ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, অতীতে ভারত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল। ভারতই প্রথম দেশ যারা প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) স্বীকৃতি দেয়। সেসময় ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত আমাদের দেশে এসেছিলেন। রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি আমাকে এবং কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মাকে অ্যাঙ্গোলায় পাঠান। আমরা সেখানে সাহায্য করেছি।

এর পাশাপাশি কেন্দ্রের সরকারকে নিশানা করে বাংলা ভাষায় কথা বলা পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের যেভাবে বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে তারও সমালোচনা করেন মমতা ব্যানার্জি।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষায় কথা বললেই বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাংলার নাগরিকদের আটকে রাখা হচ্ছে। ভারতীয় নাগরিকদের সমস্ত পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও, দেখানো সত্বেও, পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটছে। বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে দিয়ে তাকে আটকে রাখা হচ্ছে, তাদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশে পুশ করা হচ্ছে। এরা বাংলাদেশি নয়, এরা পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক। আজকেও আমার কাছে খবর এসেছে যে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ শ্রমিককে রাজস্থানের একটি ভবনে আটকে রাখা হয়েছে। অন্য অনেক রাজ্যেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে আমরা তাদের নিয়ে এসেছি। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার।

মমতা ব্যানার্জি প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলা ভাষায় কথা বলাটা কি অপরাধ? বাংলা ভাষায় যারা কথা বলে তারা এই বিজেপি সরকারের কাছে কি অপরাধ করেছে? স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন ভাষায় কথা বলতেন? এরা কি সব ভুলে গেছে? বাংলা দেখলে শুধু অত্যাচার করতে হবে? তাহলে বলে দিন যে, বাংলা নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ বাংলা ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশিরা আলাদা।

গত সোমবার নবান্নে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ'র সঙ্গে মমতার বৈঠকের বিষয় তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো বেআইনি কাজ করি না। গতকাল বাংলাদেশের হাইকমিশনার আমার কাছে এসেছিলেন, আমি প্রথমেই তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে ভারত সরকারের অনুমতি আছে কিনা? এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার পরেই তারা আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন

×