ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তীব্র সমালোচনায় কুয়েত

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তীব্র সমালোচনায় কুয়েত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২২ | ২২:১০ | আপডেট: ০২ জুন ২০২২ | ২২:১০

এলজিবিটি কমিউনিটির সমর্থনে করা এক টুইট নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যে পড়েছে কুয়েতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। এ টুইটের প্রতিবাদে মার্কিন শীর্ষ এক কূটনীতিককে তলব করা হয়েছে।

কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি বার্তা যুক্ত করে দিয়ে এলজিবিটিদের সমর্থনে ‘রংধনু পতাকা’ পোস্ট করে টুইটারে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছেন কুয়েতের কর্মকর্তারা।

‘সমকামিতাকে সমর্থন করার জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের তীব্র সমালোচনা করছেন কুয়েতের কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে পরে যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সে দাবি জানিয়েছেন।

কুয়েতে এলজিবিটি মানুষের অধিকার কঠোরভাবে সীমিত এবং সেখানে পুরুষদের সমকামি হওয়া বেআইনি।

বৃহস্পতিবার কুয়েতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আরবি ও ইংরেজি দুটি টুইট করে। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি মন্তব্য ছিল।

তিনি বলেছেন, সব মানুষের কোনো ভয় ছাড়া বাঁচার অধিকার থাকা উচিত, তারা যেই হোক না কেন বা যাকেই ভালোবাসুক না কেন।

এ পোস্ট করা হয়েছে ‘প্রাইড মান্থ’ উপলক্ষ্যে। সেখানে এলজিবিটিদের পতাকা যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

টুইট করার ঘণ্টাখানেক পরই কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা এ ধরনের বিষয় প্রত্যাখ্যান করছি এবং যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স জেমস হোল্টসনাইডারকে তলব করে এ টুইটের নিন্দা জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছি।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে কুয়েতের আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং ‘এ ধরনের টুইট না করার’ নির্দেশ দিয়েছে। 

কুয়েতের কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। এ কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনীতিকদের যে দেশে দূতাবাস ‘সে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়’।

কুয়েতের টুইটার ব্যবহারকারীরাও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের টুইটের তীব্র সমালোচনা করছেন। 

এমপি ওসমান আল-শাহীন লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। বিদেশি দূতাবাসগুলোকে অবশ্যই কুয়েতের আইন ও রাষ্ট্রীয় ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।

কুয়েত ৬৯টি দেশের একটি যেখানে এলজিবিটিরা অপরাধী হিসেবে গণ্য হন। দেশটির আইন অনুসারে, সমকামিতার সাজা হিসেবে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এ বছরের আগ পর্যন্ত কুয়েতে ট্রান্স পারসন হওয়া ফৌজদারি অপরাধ ছিল। একটি আদালত এখন আইনটিকে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করেছে।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসা এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

আরও পড়ুন

×