ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ফের কলকাতার আদালতে তোলা হবে পিকে হালদারকে

ফের কলকাতার আদালতে তোলা হবে পিকে হালদারকে

কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২২ | ০৬:৫৮ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২২ | ০৬:৫৮

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) মোট ছয় অভিযুক্তকে ৪২ দিনের দীর্ঘ বিচার বিভাগীয় জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন কলকাতার সিবিআই স্পেশাল ৩ আদালত। তাদের আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ফের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হবে।

বুধবার আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর পক্ষ থেকে সাড়ে ৪ হাজার পাতার প্রতিবেদন (অভিযুক্তদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যে ইডির কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হওয়া) জমা দেওয়া হয়। 

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের ফের আদালতে তোলে হবে। সেদিন প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তা তুলে দেওয়া হবে অভিযুক্তদের হাতে। 

পাশাপাশি জেল হেফাজতে থাকাকালে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বা নতুন কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়নি বলেও এদিন জানান ইডির আইনজীবী। 

জেল থেকে আদালতে আনার পথে দীর্ঘ যানজটে আসামিদের গাড়ি আটকে পড়ে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়েই দুই পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে তাদের বক্তব্য শুনে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক জীবন কুমার সাধু। পরে দুপুর ১২টা নাগাদ তাদের আদালতে সশরীরে উপস্থিত করানো হয়। 

আদালতে প্রবেশের সময় গণমাধ্যমের কর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি পিকে হালদার বা তার সহযোগীরা। এই মুহূর্তে অভিযুক্ত পিকে হালদার সহ পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। 

১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ইডি। ১০০ পাতার ওই অভিযোগপত্রে পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে তাদের দুটি সংস্থার নামও। 

অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ১৪ মে পিকে হালদারের সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে।

আরও পড়ুন

×