ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

হঠাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন কেন ফ্রান্সের ম্যাঁখো?

হঠাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন কেন ফ্রান্সের ম্যাঁখো?

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪ | ১৮:০৫ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ | ১৮:৫৪

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বাঁধার পর থেকেই এই ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ মধ্যপন্থা বজায় রেখে চলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁখো। কিন্তু সম্প্রতি তিনি সুর পাল্টে ফেলেছেন। এমনকি ইউক্রেনে ফ্রান্সের বাহিনী পাঠানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। হুট করে তার মনোভাবে এমন পরিবর্তন এলো কী করে?

ইউরোপের কিছু কিছু দেশ তার এই নীতিকে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু কিছু দেশ- যেমন জার্মানি - নেহায়েতই বিস্মিত হয়েছে। 

ম্যাঁখোর এই নীতি আসলে কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? তিনি কি আসলেই ইউক্রেনে ফ্রান্সের সেনা পাঠাবেন? নাকি তা আগাম নির্বাচনে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার একটি কৌশলমাত্র? এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে ফ্রান্সজুড়ে। 

গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের এক টিভি সাক্ষাৎকারে ম্যাঁখো স্বীকার করেন যে তিনি সুর পাল্টেছেন। কিন্তু তার মতে, এমনটাই হওয়ার কথা ছিলো। তিনি শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটি সুরাহা দেখতে চেয়েছিলেন। তা তো হয়নি, বরং রাশিয়ানরা নতুন উদ্যোমে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার বিপক্ষে তার শক্ত অবস্থান নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না বলে দাবি করেন ম্যাঁখো।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন ক্রমে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে। আর ইউক্রেনের মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও এখন তেমন একটা নির্ভরযোগ্য নয়। ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখন ইউরোপকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। 

শান্তি রক্ষা করতে গেলে ইউরোপকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে, এমনটা দাবি করে বসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। 

তবে ম্যাঁখোর এই যুক্তি যতটাই অকাট্য হোক, ফ্রান্সের জনগণ এবং মিত্ররা কী তা মানবে? 

প্রথমেই ফ্রান্সের এই নীতির ঘোর বিরোধিতা করেছে জার্মানি। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত সে দেশের চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সাথে দেখা করতে গেছেন ম্যাঁখো। কিন্তু এত সহজে তাদের মাঝে এই ফাটল মেরামত হবে কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। 

নিজের ঘরেও খুব একটা সমর্থন পাচ্ছেন না ম্যাঁখো। ফ্রান্সের বেশিরভাগ মানুষ এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ নিলেও ফ্রান্স থেকে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর প্রশ্নে ৬৮ শতাংশ ফ্রেঞ্চ নাগরিক 'না' মত পোষন করেন। 

শুধু তাই নয়, দেশের রাজনীতিতেও ম্যাঁখোর জনপ্রিয়তা কমে আসছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ল পেনের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলছে ক্রমশ। ভবিষ্যতে ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে তিনি কতটা সমর্থন পাবেন, সে বিষয়ে তাই সন্দেহ রয়ে যায়। 


সূত্র: বিবিসি

আরও পড়ুন

×