ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

চিকিৎসক হত্যা

রাজ্যসভার পদ ছাড়লেন তৃণমূলের জ্যেষ্ঠ নেতা 

রাজ্যসভার পদ ছাড়লেন তৃণমূলের জ্যেষ্ঠ নেতা 

তৃণমূল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা জহর সরকার। ছবি-সংগৃহীত

শুভজিৎ পুততুন্ড, কলকাতা

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০২:৫৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যসভার সদস্য পদ ছেড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা জহর সরকার। গতকাল রোববার মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি দিয়ে তিনি রাজ্যসভার পদ ও রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেন। এতে আর জি কর কাণ্ডে বিক্ষোভের মুখে চাপে থাকা মমতার জন্য অস্বস্তি বাড়ল। এর আগে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় ও সাবেক রাজ্যসভার সদস্য ডাক্তার শান্তনু সেন। তারা দলের নিয়ম ভেঙে বিক্ষোভ করেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা দুই পাতার চিঠিতে একাধিক সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন জহর সরকার। তিনি জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে আপনি আমাকে সম্মানীত করেছেন। আমার কখনও দলীয় পদ বা কিছুর উচ্চাশা ছিল না। আমি মোদি সরকারের স্বৈরাচারী, বিভেদমূলক, বৈষম্যমূলক ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ ও নীতির স্বার্থহীন ও স্পষ্ট সমালোচনা করতে পেরেছি– এটাই সন্তুষ্টি।’ তিনি লেখেন, ‘এক মাস ধৈর্য ধরে আর জি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি; আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরোনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যেসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এক কথায় অতি অল্প; অনেক দেরি হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রতি মানুষের এমন ক্ষোভ ও অনাস্থা আমি আগে দেখিনি।’ 

মমতার তুমুল সমালোচক সাবেক সংসদ ও কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের তিন সংসদ সদস্য– সুখেন্দু শেখর রায়, শান্তনু সেন ও জহর সরকারকে প্রতিবাদ করতে দেখেছি। তারা সবাই রাজ্যসভার সদস্য।’ তিনি বলেন, ‘একটা পার্টিতে থেকে তাঁর বিরোধিতা করা, বাংলার মা-বোনদের আন্দোলনের সমর্থন করা, আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা নিশ্চয় প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু এ বাংলায় যারা ক্ষমতাধারী, তাদের মধ্যে এ প্রতিবাদের কোনো রকম প্রতিফলন হবে কিনা, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। গণ্ডারের যেমন চামড়া মোটা হয়, কিছু ভেদ করে না, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদেরও তাই অবস্থা।’

এদিকে আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ থামছেই না। গত সপ্তাহের বুধবারের পর গতকাল রোববার আবারও রাত দখলের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ঘোষণা মতো রাত ১১টা থেকে কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে তারা জড়ো হন।

আরও পড়ুন

×