ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

উহানে যা ভাবা হয়েছে তার চেয়ে বেশি ছিল সংক্রমণ

উহানে যা ভাবা হয়েছে তার চেয়ে বেশি ছিল সংক্রমণ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৯:১৯ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৯:২১

২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি ছড়িয়েছিল বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একইসঙ্গে শহরটিতে সংক্রমণ মাত্রা যা ভাবা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি ছিল। ওই মাসে শহরটিতে হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন। এটা আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া নতুন তথ্য। খবর সিএনএনের

তারা জানান, তারা জরুরি ভিত্তিতে উহান শহরের লাখো মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ চেয়েছেন। তবে চীন এখনও তাদের সে অনুমতি দেয়নি।

ডব্লিউএইচও মিশনের প্রধান তদন্তকারী পিটার বেন এমব্যারেক সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০১৯ সালে উহানে করোনার সংক্রমণ ধারণার চেয়েও বেশি ছিল- এ বিষয়ে তারা বেশ কিছু লক্ষণ খুঁজে পেয়েছেন।

তিনি বলেন, চীনের কর্মকর্তাদের কথা অনুযায়ী, দেশটিতে প্রথম যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তদন্তকারীরা। চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী এই ব্যক্তি ৮ ডিসেম্বর আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর আগে কাছাকাছি সময়ে তার বাইরে ভ্রমণ করার ইতিহাস ছিল না।

উহান সফরে তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছেন, তা করোনার উৎস শনাক্তে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া অন্য বিজ্ঞানীদের ভাবনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার ব্যাপারে মধ্য ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেলেও প্রকৃতপক্ষে এ ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক আগেই চীনে ছড়িয়ে থাকতে পারে।

এমব্যারেক বলেন, আমরা এই প্রথম সার্স-কভিড-২ ভাইরাসের ১৩টি পৃথক জেনেটিক সিকোয়েন্স জোগাড় করতে পেরেছি। ২০১৯ সালে চীনে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ওপর পাওয়া বিস্তারিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এসব জেনেটিক সিকোয়েন্স পরীক্ষা করা সম্ভব হলে ডিসেম্বরের আগে ঠিক কখন ও কোথায় সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, সে সম্পর্কে মূল্যবান সূত্র পাওয়া যেতে পারে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং সহকর্মী চিকিৎসকদের এক নতুন রোগের সম্ভাব্য সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ ‘অসত্য মন্তব্য’ করা থামাতে বলে এবং ‘গুজব ছড়ানো’ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে একই শহরের হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ফেব্রুয়ারিতে মারা যান তিনি। এরপর এপ্রিলে নানা সন্দেহ ও অভিযোগ ওঠে ভাইরাসটি উহান শহরের একটি গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন

×