ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমারে ধর্মঘট ও হাততালি দিয়ে জান্তাকে অস্বীকার

মিয়ানমারে ধর্মঘট ও হাততালি দিয়ে জান্তাকে অস্বীকার

ফাইল ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০০:১২

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলো গতকাল মঙ্গলবার। দিনটিতে দোকান বন্ধ করে ও হাততালি দিয়ে বিক্ষোভের মাধ্যমে জান্তা সরকারকে অস্বীকার করেছে আন্দোলনকারীরা। তবে মঙ্গলবারের এই 'নীরব ধর্মঘটে' যারা অংশ নেবে তাদের কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেয় দেশটির সামরিক শাসকরা। তবে তা উপেক্ষা করেই 'নীরব ধর্মঘট' করে বিক্ষোভকারীরা। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।

গত বছরের এই দিনে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে কারাবন্দি করা হয়। তারপর থেকে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। স্থানীয় একটি মনিটরিং গ্রুপের মতে,অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৫০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে জান্তা সরকার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা ইদানীং লোকজনকে ধর্মঘট করার আহ্বান জানাচ্ছে, তাদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য হঠাৎ প্রতিবাদ মিছিল বের করছে, পুস্তিকা বিতরণ করছে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে। নীরব ধর্মঘটটি জান্তার প্রতি একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে, এমন আশা করা তরুণ আন্দোলনকারী নান লিন বলেন, আমাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে আর জীবন কারাগারেই কেটে যেতে পারে যদি আমরা ভাগ্যবান হই। আমরা অত্যাচারিত হতে পারি আর নিহত হতে পারি যদি আমরা হতভাগ্য হই।

এএফপির সংবাদদাতা ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুনজুড়ে এবং দ্বিতীয় শহর মান্দালয়ের বাসিন্দারা স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে 'নীরব ধর্মঘট' ও হাততালি দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। নিজেদের ধর্মঘটের সমন্বয়কারী পরিচয় দেওয়া একটি গোষ্ঠী বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি মিয়ানমারের ছায়া সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর ওপর 'নো ফ্লাই জোন' জারি করা ও জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মায়িতকিনায় পথে পথে নোটিশ টাঙিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদে অংশ না নেওয়ার জন্য সতর্ক করেছে সামরিক বাহিনী। এরকম একটি নোটিশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, তাতে লেখা ছিল, যারা এই নীরব প্রতিবাদে অংশ নেবে তাদের এই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। এতে সন্ত্রাসবিরোধী, রাষ্ট্রদ্রোহ, অবাধ্যতা ও টেলিযোগাযোগ আইনের অধীনে তিন থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে,এ বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

আরও পড়ুন

×