স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বিদ্যমান। এই আইনসভার সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট অর্থাৎ ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (এফপিটিপি) নির্বাচনী পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। সাংবিধানিক কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার কা

অনেকেই মনে করেন যে আমাদের স্বাধীনতা ছিনতাই হয়ে গেছে। মনে করাটা যে একেবারে অযৌক্তিক তাও বলবার উপায় নেই। মুক্তি তো পরের কথা, এমনকি স্বাধীনতাও খুব একটা দৃশ্যমান নয়। বিশেষ করে সাধারণ মা

শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর শাসনামলে ভারতপন্থি হয়ে থাকার তকমা জোটে বাংলাদেশের কপালে। কিন্তু ২০২৪-এ ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। এখন সুযোগ এসেছে সেই ভারতপন্থি খোলস থেকে বেরিয়ে স্বকীয় পরিচয় তৈরি করার। সম্ভাবনার এই

বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বিশ্বের মাঝে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নিজ প্রাণ সঁপে দিয়েছিল বাঙালিরা। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান, দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির দুর্ভোগের বিনিময়ে ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল এই স্বাধীন রাষ্ট্র।

সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব বদিউর রহমান প্রশিক্ষণ প্রদানকালে একটি কথা প্রায়ই বলতেন, স্থানীয় সরকার একটি চারাগাছ; প্রতিটি সরকার সেই চারাগাছ তুলে শিকড় দেখে বিবেচনা করে গাছটি কতটুকু বেড়েছে, তারপর আবার রোপণ করে।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের শিক্ষাঙ্গন বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত কিনা, সে বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। নব্বই-পরবর্তী সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিনির্ভর লেজুড়বৃ

দীর্ঘ পাঁচ বছর ইরাকে থাকার কারণে আরবি ভাষা কিছুটা রপ্ত করেছিলাম। স্থানীয়দের সঙ্গে কাজ চালিয়ে নিতে ওটা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। স্থানীয়রা বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, ভারতীয়, শ্রীলঙ্কান, থা

লেখক ও সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে চার দশক শিক্ষকতা করেছেন। ওই বিভাগ থেকেই ১৯৬৫ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৬৬ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

স্বাধীনতা লাভের পর থেকে প্রশাসন সংস্কারের ক্ষেত্রে অসহিষ্ণু এবং ক্ষমতালোভী আমলাদের তৎপরতা চলছে। সংস্থাপন বিভাগ (বর্তমানে জনপ্রশাসন) তাদের হাতে থাকায় প্রশাসন ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের প্রায় সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। এটিও একটি বড় লজ্জার বিষয় যে, ওই সময়ে ক্ষমতাসীন বা বিরোধী পক্ষে থাকা রাজনৈতিক দলের প্রতিভাবান নেতানেত্রীরা তা দেখেও দেখেননি; বরং ক্ষেত্রবিশেষে এসবে ইন্ধন জুগিয়েছেন।

বাংলাদেশ বর্তমানে রাজনীতি, প্রশাসন, শৃঙ্খলা, দুর্নীতিসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এগুলোর সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা ও জটিল প্রক্রিয়া অনুসরণ করা লাগবে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত অগ্রাধিকার উপেক্ষিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য দেশকে প্রস্তুত করার বিষয়টি।