ব্যাংক একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণের উত্তম পদ্ধতি কোনটি?
অর্থনীতি

মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা
মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪ | ২৩:৪৫ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ | ১৩:৫৩
আমরা জানি, একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণের মূল প্রণোদনা হলো সিনার্জি। সহজ কথায়, এখানে ফলাফল হতে হবে ২+২=৫ অথবা তারও বেশি। এই ফলাফল অর্জন করতে হলে মূলত নেট নগদ অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ঝুঁকির পরিমাণ হ্রাস করতে হবে। এভাবে টার্গেট ব্যাংক এবং ক্রেতা বা একীভূতকারী ব্যাংক ভ্যালু ক্রিয়েশনের মাধ্যমে এই সিনার্জি তৈরি করে উভয় পক্ষই লাভবান হতে পারে।
এই সিনার্জিস্টিক ফলাফল অর্জনে বিশেষভাবে যেদিকে নজর দিতে হবে তা হলো– রেভিনিউ বৃদ্ধি, পরিচালন ব্যয় হ্রাস এবং এ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ, সেবার মান বৃদ্ধি, ঝুঁকি হ্রাস, আর্থিক দক্ষতা অর্জন, দক্ষ জনবল ও ব্যবস্থাপনা, আয়কর সুবিধা। উপরিউক্ত উপায়ে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ব্যাংক কোম্পানি একীভূতকরণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন- ব্যাংক একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণ: কী, কেন ও কীভাবে?
ব্যাংক একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণের আইনি কাঠামো
এবার এই একীভূত বা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রতি আলোকপাত করা যাক। একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে টার্গেট ব্যাংকের দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়। ফলে যখনই কোনো টার্গেট ব্যাংক একীভূত হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসে, তখন উক্ত ব্যাংকের করপোরেট এবং লিগ্যাল বিষয়গুলো গুছিয়ে ফেলতে হয়। এক কথায় বলতে গেলে, করপোরেট হাউসকিপিংয়ের ওপর দুর্বল ব্যাংক একীভূত হওয়ার মূল্যায়ন নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন করপোরেট হাউসকিপিং খুবই জরুরি। নিচে ব্যাংক একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রধান ধাপগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
ক. ব্যবসায় মূল্যায়ন
ব্যবসায় মূল্যায়ন বা বিজনেস ভ্যালুয়েশনের ক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। প্রথমেই ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক একীভূত হতে আগ্রহী বা টার্গেট ব্যাংককে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এর মূল্য সম্পর্কে প্রাথমিক প্রাক্কলন দেবে। একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণের একমাত্র কারণ হলো একীভূত বা অধিগ্রহণ করার পর শেয়ারহোল্ডার ভ্যালু সৃষ্টি অর্থাৎ একীভূত বা অধিগ্রহণের পর ব্যাংক কোম্পানির ব্যবসার মুনাফা বৃদ্ধি করা। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানিটি ভবিষ্যতে যে নেট নগদ অর্থ উৎপন্ন করবে তার বর্তমান অর্থনৈতিক মূল্যের মাপকাঠিতেই ব্যাংক কোম্পানির ব্যবসার মূল্য নির্ধারিত হওয়ার কথা। এখানে ব্যবসা পরিচালনায় ঝুঁকির উপাদানগুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বা মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান তাদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে এন্টারপ্রাইজ মূল্যমান এবং ইকুইটি মূল্যমানের ধারণা ব্যবহার করতে পারে।
তাত্ত্বিকভাবে যা-ই বলা হোক না কেন, মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান বাস্তবসম্মত বহুমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে। কারণ, ব্যবসা মূল্যায়ন পদ্ধতির মধ্যে অনেক সাবজেক্টিভিটি থাকে। অর্থাৎ অবজেক্টিভিটি এবং সাবজেক্টিভিটির সমন্বয়েই ব্যবসার বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বা মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান মূলত দুই ধরনের পদ্ধতিতে ব্যবসার মূল্যায়ন করে।
খ. আপেক্ষিক মূল্যায়ন
তুলনামূলক ব্যবসার পর্যবেক্ষণযোগ্য বাজারমূল্যের ওপর নির্ভর করে আপেক্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতিতে একটি ব্যাংক কোম্পানির মূল্যায়ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে যে কোম্পানিগুলো পর্যবেক্ষণ করে কোনো একটি কোম্পানির মূল্যায়ন করা হবে, সেই কোম্পানিগুলোর আকার, পণ্য, ঝুঁকির মাত্রা ইত্যাদি অনুরূপ হয়ে থাকে। তবে ব্যাংক কোম্পানির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির মূল্যায়ন খুব একটা প্রযোজ্য নয় বলে মনে হয়। কারণ, এ ক্ষেত্রে আর্থিক বিবরণীই গুরুত্বপূর্ণ সোর্স। তবে ব্যাংক কোম্পানির সেবার মান নির্ণয়ে এই পর্যবেক্ষণ মূল্যায়ন প্রয়োগ করা যেতে পারে।
গ. ডিসকাউন্টেড ক্যাশ ফ্লো
ডিসকাউন্টেড ক্যাশ ফ্লো-ডিসিএফ পদ্ধতিতে ভবিষ্যতে গ্রহণযোগ্য নগদ অর্থের বর্তমান মূল্য নির্ণয় করা হয়। এই পদ্ধতির মূল উপাদান ফাইন্যান্সিয়াল প্রজেকশন, মুক্ত অর্থপ্রবাহের ধারণা, মূলধন সংগ্রহের খরচ ইত্যাদি। তবে ডিসিএফ পদ্ধতির প্রথম পদক্ষেপ হলো টার্গেট কোম্পানির ভবিষ্যৎ আর্থিক বিবরণীর প্রজেকশন।
উল্লেখ্য, পাবলিক কোম্পানির চেয়ে প্রাইভেট কোম্পানির মূল্য নির্ধারণ সহজ নয়। ব্যাংক কোম্পানির ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। উপরন্তু প্রাইভেট কোম্পানির মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অধিক জটিল। কারণ, এখানে পাবলিক মার্কেট ট্রেডিং মূল্যের কোনো রেফারেন্স নেই।
ঘ. ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক নিয়োগ
একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণের লেনদেনে একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সার্ভিস গ্রহণপূর্বক একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণ চুক্তি সহজে বাস্তবায়ন সম্ভব। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মূল কাজ হলো– সম্ভাব্য ক্রেতা শনাক্ত করা, লেনদেনের মূল্য নির্ধারণ করা, উভয় পক্ষকে নেগোসিয়েশনে সহযোগিতা করে চুক্তি সম্পাদন এবং সফলভাবে লেনদেন সম্পন্ন করা। কিন্তু বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকগুলোর চিত্র ভিন্ন। তারা পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যস্ত। করপোরেট ক্যারেক্টারাইজেশনে তাদের আগ্রহ নজরে পড়ে না।
ঙ. গোপনীয়তার চুক্তি
একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণ লেনদেন প্রক্রিয়ার প্রথমেই টার্গেট এবং ক্রেতা ব্যাংকের মধ্যে একটি গোপনীয়তা চুক্তি সম্পাদন করা হয়। সংগত কারণেই টার্গেট ব্যাংককে ক্রেতা ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসা-সংক্রান্ত কিছু সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করতে হয়। প্রয়োজনীয় অথচ গোপনীয় তথ্য বিনিময়ের ফলে উক্ত তথ্য যেন অন্যত্র ফাঁস না হয়ে যায়, সে জন্য এই চুক্তি সম্পাদন করা দরকার। বিশেষ করে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অধিকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এ চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে টার্গেট ব্যাংককে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হতে হয়। অন্যান্য কোম্পানির মতো ব্যাংক কোম্পানিরও ব্যবসা-সংক্রান্ত বা কৌশলগত গোপনীয়তা থাকতে পারে।
চ. জনবল আত্তীকরণ
একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়টি হলো, যে কোম্পানি একীভূত হবে বা অধিগৃহীত হবে, ওই কোম্পানির সিনিয়র ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য জনবলের আত্তীকরণ বা টার্মিনেশনের সমস্যা। কারণ, একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণ প্রাথমিক পর্যায়েই যদি জানাজানি হয়ে যায়, তখন থেকেই টার্গেট কোম্পানির জনবলের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা ছড়িয়ে পড়তে
পারে। ব্যাংকটির প্রডাক্টিভিটির ওপর এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অথচ পরবর্তী সময়ে দেখা গেল, একীভূত করার প্রক্রিয়া সফল হলো না বা থেমে গেল।
এ ক্ষেত্রে হতাশাগ্রস্ত জনবলের মনোবল চাঙ্গা করা কঠিন হতে পারে।
তা ছাড়া এই একীভূতকরণ বা অধিকরণ প্রক্রিয়ার আলামত দেখেই ভালো ভালো কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি ছেড়ে চলে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি সফল হলেও সমস্যা; ব্যর্থ হলেও সমস্যা। কারণ, ভালো মানবসম্পদ তৈরি করা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। ব্যাংক একীভূত হলেও দক্ষ জনবল দরকার; একীভূত না হলেও ব্যবসা চলমান রাখার জন্য তা দরকার। এ ক্ষেত্রে টার্গেট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে দক্ষ জনবল ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন একীভূত বা অধিগ্রহণের পরও জনবলের চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং তাদের বোনাস বা অন্যান্য সুবিধা অক্ষত থাকবে– এই মর্মে ক্রেতা ব্যাংকের সঙ্গে উভয় ব্যাংকের স্বার্থেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং এ ব্যাপারে সবাইকে অবহিত রেখে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। যদি দেখা যায়, দক্ষ জনবল চাকরি ছেড়ে চলে গেছে এবং পরে টার্গেট কোম্পানি সফলভাবে একীভূত বা অধিগৃহীত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ক্রয়মূল্য সমন্বয় করে দক্ষ জনবল হ্রাসের ক্ষতি পূরণ করা যেতে পারে। এক কথায়, সঠিকভাবে ম্যানেজমেন্ট ও আত্তীকরণ বা টার্মিনেশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ছ. চুক্তি নেগোসিয়েশন
চুক্তি নেগোসিয়েশন পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি, শর্ত চূড়ান্ত করা হয়। তা ছাড়া আইনগত শর্তগুলোও এই পর্যায়ে সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়। যেমন ওয়ারেন্টি, রিপ্রেজেন্টেশন প্রভৃতি। তা ছাড়া সম্পদ, দায়, পূর্বের চুক্তি এসব হস্তান্তরের বিষয়ও এই পর্যায়ে ঠিক করে নেওয়া হয়।
জ. ডিউ ডিলিজেন্স
ডিউ ডিলিজেন্স পর্যায়ে টার্গেট ব্যাংক সম্পর্কে ক্রেতা ব্যাংক নানা বিষয়ে অনুসন্ধান করে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে। এই ডিউ ডিলিজেন্স প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যথাযথ তথ্য না থাকলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। ক্ষেত্রবিশেষে টার্গেট ব্যাংকও ক্রেতা ব্যাংক সম্পর্কে এই ডিউ ডিলিজেন্স করতে পারে। যেমন– টার্গেট ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা যখন এই ব্যাংকের বিক্রয়মূল্য হিসেবে ক্রেতা কোম্পানির স্টক গ্রহণ করে, তখন ক্রেতা ব্যাংকের ওপরে টার্গেট ব্যাংক এই ডিউ ডিলিজেন্স করে থাকে। একটি ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের ওপর এই ডিউ ডিলিজেন্স করা হয়ে থাকে। যেমন– আর্থিক ডিউ ডিলিজেন্স, লিগ্যাল ডিউ ডিলিজেন্স, মানবসম্পদ ডিউ ডিলিজেন্স, তথ্যপ্রযুক্তি ডিউ ডিলিজেন্স, ইন্টেলেকচুয়াল ডিউ ডিলিজেন্স ইত্যাদি।
ঝ. চুক্তি সম্পন্নকরণ
চুক্তি সম্পন্নকরণ বা ডিল ক্লোজ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, সব চুক্তি ক্লোজ হয় না। ভালো ডিল, মন্দ ডিল উভয়ই এই একীভূতকরণ/অধিগ্রহণেরই অংশ বলা যায়। এই প্রক্রিয়ায় সব লেনদেনই সম্পন্ন হবে– এমন নিশ্চয়তা নেই। ডিল ক্লোজিংয়ের সময়সীমা, ব্যবসায়িক মূল্যায়ন, পক্ষদ্বয়ের প্রত্যাশা ও অবস্থান, উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি শর্ত– সব কিছুর ওপর নির্ভর করবে একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণ ডিল সফল হবে, না বিফল। পক্ষদ্বয়ের এই সংক্রান্ত লেনদেনের অভিজ্ঞতা, ব্যবসায়িক দক্ষতা বা বিজনেস একিউম্যান, সমস্যা শনাক্তকরণ এবং তা সময়মতো সমাধানের দক্ষতা, ইত্যাদি এই লেনদেন ক্লোজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। এসব কিছুর সমন্বয়েই একটি একীভূত করার উদ্যোগ সফল হয়।
ঞ. পোস্ট মার্জার ইন্টিগ্রেশন
ডিল ক্লোজ হওয়া পরের পর্যায় হলো পোস্ট মার্জার ইন্টিগ্রেশন বা পিএমআই। এটি হলো দুটি ব্যাংককে একীভূত বা অধিগ্রহণের মাধ্যমে একীকরণ বা ইউনিফিকেশন প্রক্রিয়া। এই পর্যায়ে টার্গেট ব্যাংক এবং ক্রেতা ব্যাংকের সম্পদ, দায়, মানবসম্পদ এবং অন্যান্য রিসোর্সেস একীভূতকরণের মাধ্যমে ব্যাংকের নতুন সত্তার মূল্যমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আর্থিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সিনার্জি সৃষ্টির মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করা হয়। এই পর্যায়ে চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট, করপোরেট কৌশল, স্বচ্ছতা, করপোরেট কালচার ইন্টিগ্রেশন, প্রসেস ইন্টিগ্রেশন, স্টেকহোল্ডার ইন্টিগ্রেশন, গ্রাহক ইন্টিগ্রেশন এবং পিএমআই কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন অত্যাবশক। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় লেনদেন সম্পন্ন করার পর এই পিএমআই স্টেজে অধিকতর সর্তকতা অবলম্বন জরুরি।
উপসংহার
কোম্পানি একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া-সংক্রান্ত আজকের আলোচনা বেশ সংক্ষিপ্ত হলেও আশা করা যায়, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। উক্ত আলোচনা থেকে এটাও প্রতীয়মান– ব্যাংক একীভূতকরণের কাজটি তাড়াহুড়ার কাজ নয়। পরবর্তী নিবন্ধে একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণের আইনগত দিক সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।
ড. মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা: হেড অব চেম্বার, জুরিসকনসাল্টস অ্যান্ড লিগ্যাল সলিউশনস (জেএলএস)
- বিষয় :
- ব্যাংক একীভূত