পাঁচশ কোটি টাকায় যেভাবে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ সম্ভব
তথ্যপ্রযুক্তি

জাকারিয়া স্বপন
জাকারিয়া স্বপন
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪ | ০০:০৮ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ | ১১:০১
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বা অর্থনীতিবিদরা অনেক বছর ধরেই ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ নিয়ে কথা বলছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সেটা অন্যান্য মহলেও ছড়িয়েছে দেখে ভালো লাগছে। অনেকেই লেখালেখি করছেন, কেউ কেউ বক্তৃতা আর টকশোতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শব্দটায় জোর দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একটি টার্গেট দিয়েছেন– ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ৩০ শতাংশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগ ক্যাশলেস করতে হবে।
দুই.
ভালো লাগছে এই কারণে যে, এর সঙ্গে আমার জীবনের বড় একটা অংশ জড়িয়ে রয়েছে। এই যাত্রায় কিছুটা পথ আমিও হেঁটেছি।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ তৈরির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অফিসিয়ালি আবেদন করি। তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা (বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি
গভর্নর) আল্লাহ মালিক কাজেমীর (প্রয়াত) নেতৃত্বে নতুন এই লাইসেন্স দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আতিউর ভাই সবসময় নতুন কিছু করতে চান; তাঁকে বিয়ষটি বোঝাতে মোটেও সময় লাগেনি। তিনি তখনই এটাকে অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেন। তারপর ডিটেইল কাজ করতে হলো কাজেমী ভাইয়ের সঙ্গে। তখন তিনি ৭০-এর কাছাকাছি। তারপরও কতটা ডিটেইল কাজ করতে পারেন, তাঁকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। এমন বিজ্ঞ মানুষ আমি অনেক দিন দেখিনি। এখনও শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত কভিডের কাছে হার মেনেছিলেন। তাঁকে শেষবার দেখার খুব ইচ্ছা ছিল; তা আর হয়ে ওঠেনি।
আমার সেই লাইসেন্স পেতে লেগেছিল দুই বছর। একটি বড় কারণ ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি। তখন সবকিছু থমকে গিয়েছিল। এ জন্য আতিউর রহমানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের বেশ কিছু কর্মকর্তাকে ঝামেলায় পড়তে হয়, যদিও এর জন্য তিনি দায়ী ছিলেন না। তবে আজকের বিষয় সেটা নয়।
আজ শুধু এটুকু বলি, বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা শিখেছি তা হলো, স্বল্প প্রযুক্তি জানা মানুষের দেশে প্রযুক্তি নিয়ে উদ্ভাবনীমূলক কিছু করতে নেই। তাহলে আপনাকে শাস্তি পেতে হবে। যেহেতু বিষয়টির গভীরে যাওয়ার ক্ষমতা নেই, ফলে আপনি যে কোনো নিরপরাধ মানুষকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন শুধু অনুমানের ভিত্তিতে। তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন। আপনি যে বিষয়টি জানেনই না, সেটা তো আর মানুষকে বলার মতো সৎ সাহস আপনার নেই। ফলে যেসব মানুষ আসলে কাজ করে, পরিবর্তন করতে চায়, তাদেরই সব দোষ। আর যে কাজই করে না, তার তো কোনো দোষ নেই। সে জন্য আমেরিকা আমেরিকাই হয়; আমরা বাংলাদেশই থাকি! জ্ঞান-বিজ্ঞানে এ দেশের মানুষ যতদিন না এগিয়ে যায়, কারও ক্ষমতা নেই এ দেশকে উন্নত করে!
যাই হোক, তারপর সেই সেবা যেদিন বাংলাদেশে চালু করি, সেদিন হোটেল র্যাডিসনে কয়েকশ মানুষের সামনে বড় বড় করে দেখিয়েছিলাম, এটা করছি ক্যাশলেস বাংলাদেশের জন্য। আমরাই বাংলাদেশে প্রথম দোকানে দোকানে কিউ-আর কোড লাগিয়েছিলাম, যা স্ক্যান করে আমাদের অ্যাপ দিয়ে পেমেন্ট করা যেত। তারপর সেই পথে হেঁটে অনেকেই লাইসেন্স নিয়েছেন। অন্যান্য ব্যাংক এবং এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসে।
কিন্তু ক্যাশলেস মুভমেন্টে কতটা অগ্রসর হলো বাংলাদেশ? কত পারসেন্ট ট্রানজেকশন এখন ক্যাশলেসে হয়? আগামী বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী চান ৩০ শতাংশ দৈনন্দিন জীবনের ট্রানজেকশন ক্যাশলেস হবে। কিন্তু আমরা তো জানিই না, ২০২৪ সালে কত ভাগ ক্যাশলেস হচ্ছে? আগে বেজ লাইন জানতে হবে।
তিন.
এই পালে গতির সঞ্চার করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক বছর ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। তারা এলাকাভিত্তিক ক্যাশলেস মুভমেন্ট করছে। যেমন কয়েক বছর আগে ‘ক্যাশলেস মতিঝিল’ করার একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে গরুর হাটে ডিজিটাল ট্রানজেকশন করা হয়েছে। যদিও টাকার অঙ্কে বিষয়গুলো বড় নয়, তবে প্রান্তিক মানুষের মাঝে এগুলো একদম নতুন ধারণা।
পাশাপাশি বাংলা কিউ-আর কোড চালু করেছে, তাদের সুইচিং আপগ্রেড করছে এবং এটাকে আরও প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
তাতে ফলাফল কী? মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। যখন একটা জায়গায় ক্যাম্পেইন চলছে, সেই সময়ে কিছু মানুষ ডিজিটাল ট্রানজেকশন করছে। যখন সেই স্থান ছেড়ে কর্মকর্তারা চলে আসছেন; ডিজিটাল ট্রানজেকশন জিরো। মানুষ ব্যবহার করছে না। মানুষ এখনও ক্যাশে লেনদেন করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে।
ব্যাংকগুলোকে চাপ দিলেই কি একটা দেশ ক্যাশলেস হয়ে যাবে?
চার.
ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া বাকিদের প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি খুবই সামান্য। তারা কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারটি বাইরের কোনো কোম্পানির কাছ থেকে নিয়েছে। সঙ্গে এটিএম, কার্ড– এটুকুই। এগুলো করার জন্য যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুই তারা বিনিয়োগ করেছে। তাদের আইটি টিমকে ট্রেনিং দিয়েছে। এর বাইরে কিছু করা প্রায় অসম্ভব। কারণ বেশির ভাগ ব্যাংকের মালিকপক্ষ অন্য গ্রহের বাসিন্দা।
মনে রাখতে হবে, প্রায় ৫৩ বছর বয়সের দেশটিতে এখনও একটি ব্যাংক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে পারেনি। সেই সক্ষমতাই তৈরি হয়নি। এইচএসবিসি কিংবা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বললে আমরা যা বুঝি; দেশি ব্যাংকগুলোর সেই মান নেই। আর এখন ব্যাংকিং সেক্টরে কী চলছে, সেটা তো সবাই জানেন। এ ধাক্কা কাটিয়ে উঠে একটা সম্মানজনক জায়গায় যেতে আরও অনেক বছর চেষ্টা করতে হবে।
কোনো সেক্টরকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিতে হলে সামগ্রিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। গার্মেন্টস শিল্প যে আজ আন্তর্জাতিক মহলে জায়গা করে নিয়েছে, তার সব ক্রেডিট কিন্তু আমাদের নয়। পুরোটা যদি আমাদের হাতে থাকত, তাহলে হয়তো আরও অনেক রানা প্লাজা দেখতে হতো। বিশ্বে যারা স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে কাজ করে, তারা যুক্ত বলেই গার্মেন্টস খাত অনেকটা ঠিক আছে। আজ বিশ্বে আমাদের সবচেয়ে বেশি গ্রিন ফ্যাক্টরি, সেটা কিন্তু নিজেদের ইচ্ছায় হয়নি।
তেমনি সবকিছু যদি আমরাই ঠিক করে ফেলব ভাবি, তাহলে সময় অনেক বেশি লেগে যেতে পারে; নাও হতে পারে। ব্যাংকিং সেক্টরকে যদি সুন্দর, উন্নত পাবলিক সেবায় রূপান্তর করতে হয়, তাহলে কঠিন হাতে এগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। ক্যাশলেসের জন্য প্রস্তুতির আগে ব্যাংকগুলোকে প্রস্তুত হতে হবে। তাদেরকে কেপিআই বেঁধে দিতে হবে। নইলে দেখা যাবে, এই ব্যাংকে একটা হচ্ছে, আরেক ব্যাংকে আরেকটা হচ্ছে না। কেউ একটা অ্যাপ তৈরি করল, এখানে কাজ করছে তো আরেক জায়গায় কাজ করছে না। দিন শেষে গ্রাহক তা ছুড়ে ফেলে দেবে। যেমন ২৯টি ব্যাংক এমএফএস লাইসেন্স নিয়েছিল, টিকে রয়েছে মাত্র তিনটি।
কোনো একটি সেক্টরকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেওয়ার সক্ষমতা এখনও হয়নি, রাতারাতি হয়েও যাবে না। তাহলে কি আগামী বছরের মধ্যে ৩০ শতাংশ ক্যাশলেস হবে না?
পাঁচ.
না; ২০২৫ সালের ভেতর বাংলাদেশ ৩০ শতাংশ ক্যাশলেস হবে না। এটা হলো চরম সত্যি কথা। গায়ের জোরে অনেক কিছুই চাপিয়ে দেওয়া যেতে পারে, অনেক ডেটা ম্যানিপুলেট হতে পারে। কিন্তু তাতে তো আর কাজটা হয়ে গেল না; তাই না?
তবে একটা কাজ হবে। এটাকে টার্গেট করে এগোলে অনেক সিস্টেম তৈরি হয়ে যাবে। কাজে গতি আসবে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি হবে। ব্যাংকগুলো রেডি হবে। কিছু এরিয়া ফিক্স হবে। অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে। একটা ঝটিকা মেইল চালু হবে এবং সেই উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন একটি উচ্চ টার্গেট বলে দেওয়া হয়েছে।
তবে টার্গেট আমরা যা-ই দিই, আগে ঠিক করতে হবে বেজ লাইন– আমরা এখন কোথায় আছি। বাংলাদেশে অর্থনীতি হলো প্রায় ৪৪০ বিলিয়ন ডলারের। সেখানে কতটুকু এখন ক্যাশলেস হয়? তাহলে বাকিটুকু যেতে কী পরিকল্পনা করতে হবে, সেটা পাওয়া যাবে। নইলে এখানে সেখানে এদিক-ওদিক কিছু কাজ হবে। দেশ আর ক্যাশলেস হবে না!
ছয়.
তাহলে কি বাংলাদেশকে ক্যাশলেস করা যাবে না? যাবে। অবশ্যই যাবে। তার জন্য একটাই রাস্তা খোলা– প্রণোদনা দিতে হবে। কেন প্রণোদনা দিতে হবে, সংক্ষেপে বলছি।
বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্টের একটি বাড়তি খরচ আছে। আমি যদি একটি দোকানে ১০০ টাকা ক্যাশ দিই, তাহলে দোকানি ১০০ টাকাই পায়। কিন্তু যে মুহূর্তে আমি ডিজিটাল পদ্ধতিতে পেমেন্ট করতে যাব, দোকানি পাবে ৯৮ টাকা (গড়ে ২% কাটা হয়)। তাই দোকানি আর ওটা নিতে চায় না। সে ক্যাশেই পেমেন্ট নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শখ করে তো আর কেউ বাড়তি খরচ গুনতে যায় না, তাই না?
বাংলাদেশের অর্থনীতি মাত্র একটি উঠতি অর্থনীতি, যেখানে খুব কম সংখ্যক মানুষ ওপরের স্তরে বসবাস করে। তারা কার্ড ব্যবহার করে; কেনাকাটাও করে ধনী দোকানগুলোতে। সেখানে বাড়তি ২ শতাংশ নিলে দোকানির গায়ে লাগে না। তারা পণ্যের দাম অনেক বেশি করে হাঁকিয়ে রাখে।
কিন্তু পাড়ার মুদি দোকানগুলো? জেলা শহর, থানার দোকানগুলো? যারা মধ্যম আয়ের মানুষ, তারাই তো বাংলাদেশ। তারাই তো মূল অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাদের কাছে এই বাড়তি ২ শতাংশ অনেক বেশি খরচ।
আর প্রান্তিক জনগণ? তাদের কাছে প্রতিটি টাকাই অনেক মূল্যবান। পাড়ায় যে দোকানি দিনে বেচে দিন খায়, আর তার যে ক্রেতা, সেখানে তো এটা চিন্তাই করা যায় না। কিন্তু এরা সবাই এ দেশের নাগরিক।
একটু ঠান্ডা মাথায় যদি চিন্তা করেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকা ছাপাতে হয়। সে টাকা ধনী-দরিদ্র সবার জন্যই। টাকায় কোথাও ছাপ দেওয়া থাকে না– এটা ধনীর, এটা গরিবের। শুধু লেখা থাকে– ‘চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে।’ অর্থাৎ যার কাছে নোট, সে-ই ওটার মালিক। কিন্তু ডিজিটাল পেমেন্টের বেলায় ডিসক্রিমিনেট করা হলো– ধনীরা কার্ড ব্যবহার করতে পারবে, গরিবরা পারবে না।
এই টাকা সরকার ছাপায় তার জনগণের সুবিধার জন্য এবং এই টাকার বয়স গড়ে এক বছরের কম। প্রতিবছর সরকারকে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় নতুন টাকা ছাপাতে। সরকার পরিকল্পনা করতে পারে, এই বছর ডিজিটাল পদ্ধতিতে গেলে কত টাকা কম ছাপাতে হবে। সেই টাকাটা এখানে প্রণোদনা দিলেই হবে। এমনও হতে পারে, তার থেকে আরও অনেক কম প্রণোদনা দিতে হবে।
আমরা বিভিন্ন খাতকে গড়ে তুলতে প্রণোদনা দিই। রেমিট্যান্স আনলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়। ফ্রিল্যান্সারদের ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলে সেটা এখনও দিই না। গার্মেন্টস শিল্প, সফটওয়্যার শিল্প, রপ্তানি ইত্যাদি খাতে দেশকে প্রণোদনা দিতে হয়। তাই একটি দেশকে ক্যাশলেস করতে হলে, দেশকেই তার জন্য প্রণোদনা দিতে হবে। কোনো ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সেটা আশা করা সঠিক চিন্তা নয়!
ধরুন, কাল ঘোষণা করা হলো, যারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পেমেন্ট গ্রহণ করবে তারা ১ শতাংশ বেশি টাকা ক্যাশব্যাক পাবে। এ জন্য বাজেট দেওয়া হলো ৫০০ কোটি টাকা! ভাবুন তো, পরের দিন থেকে কী হবে?
যারা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে ‘ক্যাশলেস’ (ইউ নো, হোয়াট আই মিন!) করে ফেলেছেন, দেখবেন তারা আমার আপনার চেয়ে হাজার গুণ এমন দৌড় দেবে, যেন এক ফোঁটা মধুও মাটিতে না পড়ে! সেই দৌড়ে আমরা অনেক পেছনে থাকব। তাতে সমস্যা নেই; দেশের একটি কাজ তো হলো!
এটাই বাংলাদেশ! টেক ইট, অর লিভ ইট!
পুনশ্চ: যখন লিখছি তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। দেশটির জন্য মায়া হচ্ছে!
জাকারিয়া স্বপন: তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও কলাম লেখক
[email protected]
- বিষয় :
- ক্যাশ
- তথ্যপ্রযুক্তি