ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

‘সম্ভাব্য সুদিনেও’ ভিন্ন চ্যালেঞ্জে বিএনপি

‘সম্ভাব্য সুদিনেও’ ভিন্ন চ্যালেঞ্জে বিএনপি

কোলাজ

 লোটন একরাম

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০০:৫০ | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১:৫৯

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘সম্ভাব্য সুদিনেও’ ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আগামী নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে নিজেদের প্রস্তাবনা ও দলীয় নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে দলটিকে। রাজনীতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ এখন কঠিন সংকটে। এর মধ্যেই এবারের নির্বাচনে সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় নামতে হতে পারে বিএনপিকে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলকে নিয়ে ইসলামী ফ্রন্ট এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-তরুণদের সম্ভাব্য নতুন দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলটিকে।

একই সঙ্গে বিএনপিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে হবে দেশকে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দেশের সামরিক-বেসামরিক শক্তি ও সুশীল সমাজের সমর্থন আদায়ও করতে হবে। এর সঙ্গে রয়েছে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ। 

এমন পরিস্থিতিতেই আজ ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে এক দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি। দেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে এবার বর্ণাঢ্য কর্মসূচি বাতিল করেছে দলটি। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নেতাকর্মীকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

দলটির নেতারা বলছেন, সমমনা দলগুলোকে নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের নতুন প্রস্তাব দিয়ে দেশি-বিদেশিদের আস্থা অর্জনে তারা আশাবাদী। একই সঙ্গে তারা দলকে সুসংগঠিত করে নতুন সব চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করবেন। আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসবেন।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আন্দোলন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। দ্বাদশ সংসদের একতরফা নির্বাচনের ছয় মাসের মাথায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনে বদলে যায় দৃশ্যপট। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হন। রাজনৈতিক মামলায় দলের কারাবন্দি সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দলটির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে। এতে দলটি আবার জনপ্রিয়তা হারানোর চ্যালেঞ্জে পড়েছে। যদিও দলটির হাইকমান্ড কঠোর অবস্থান নিয়ে অনেককে বহিষ্কার করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপিকে নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হতে হবে। বিগত দিনে দেওয়া ৩১ দফা রূপরেখা যে কথার কথা নয়, তা প্রমাণ করতে হবে কাজের মাধ্যমে। তাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলো নতুন আঙ্গিকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রজ্ঞা প্রদর্শনের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অন্যথায়, ভবিষ্যতে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে দলটি।

অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে

১৯৭৮ সালের এই দিনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া দলটির হাল ধরেন। তাঁর নেতৃত্বে তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয় বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে মুক্তি দিলেও রাজনীতিতে নেই তিনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর ছেলে তারেক রহমান বিদেশে থেকে দল পরিচালনা করছেন। এতে সক্রিয় উপস্থিতির শূন্যতা পূরণ হচ্ছে না। যদিও দলের নেতারা দাবি করছেন, এখন ডিজিটাল যুগে সশরীরে উপস্থিতির কাজ ভার্চুয়ালি সম্ভব হচ্ছে।

১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমবার সংকটে পড়েছিল বিএনপি। আশির দশকে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর দ্বিতীয়বার গভীর সংকটে পড়ে দলটি। ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়াসহ বিপুল সংখ্যক শীর্ষ নেতা কারাবন্দি হলে দলটি তৃতীয় দফা নেতৃত্ব সংকটে পড়ে। তিনবারই ভাঙনের মুখে পড়েছিল দলটি। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সময়ের প্রয়োজনে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। বহু দলীয় গণতন্ত্র চর্চার পথ খুলে দেন তিনি। পরে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর বিএনপি কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম-খুন হয়েছেন। এমনকি লাখ লাখ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। অবশেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতন ঘটেছে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবে বলে আশা করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার সংস্কার ও নির্বাচনের ব্যাপারে একটি রোডম্যাপ দেবে বলে আমরা আশা করি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তাদের রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জনগণ বিএনপির পাশে থাকবে বলে আমরা আশাবাদী। 

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অচিরেই দেশে ফিরে আসবেন।

ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি

বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতাদের মতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতার মধ্য দিয়ে বিএনপির ১৫ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। ছাত্র-জনতার নির্দলীয় নেতৃত্ব মেনে নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শরিক হয়েছিল দলটি। এ আন্দোলনে নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির উত্থান ঘটেছে। রাজনৈতিক দলগুলো তা মেনেও নিয়েছে। 

তাদের মতে, ফ্যাসিবাদী বনাম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের যে মেরূকরণ ছিল, তা শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার নতুন মেরূকরণ তৈরি করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে এসেছে। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশের মানুষও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপিকে তুলনা করছে। বিশেষ করে দুই দলের নেতাকর্মীর কার্যক্রমকে অনেকেই একই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বলে অভিহিত করছেন। এ পরিস্থিতিতে সারাদেশে নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলদারির অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে শুরু করেছে বিএনপি। যদিও দলটির শীর্ষ নেতারা এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন দাবি করে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তুলে ধরছেন। 

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সমকালকে বলেন, বিএনপির এখন সম্ভাব্য সুদিন। তবে একই সঙ্গে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ায় চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়েছে তারা। বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল। তারা অতীতেও ক্ষমতায় ছিল। আগামী নির্বাচনে প্রতিপক্ষ কে হবে, সেই প্রস্তুতি তাদের নিতে হবে। কয়েকটি ইসলামী দলের ফ্রন্ট হতে পারে। এতে জামায়াত থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে। আওয়ামী লীগের বিলুপ্তির দাবি উঠেছে, প্রধান উপদেষ্টা তা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হতে পারে। নতুন খোলসে আবির্ভূত হতে পারে। একই সঙ্গে ছাত্র-তরুণদের নতুন দল করার গুঞ্জনও রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক রকম অভিজ্ঞতা আছে। মিল রয়েছে। দুর্নামও রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, সামনের নির্বাচনে ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা হবে। ছাত্ররা স্মার্ট। তথ্যপ্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ। দুর্নাম নেই। গণবিস্ফোরণের সফলতার দাবিদারও। ফলে বিএনপিকে নতুন করে আবির্ভূত হতে হবে সফলভাবে প্রতিযোগিতা করার জন্য। নতুন বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল হতে হবে। এখন ঝুঁকি নেই। গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ নীতি-আদর্শের দল হিসেবে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দায়বদ্ধ হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। তারা সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে পারে। এতে চাঁদার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে দলীয় বড় ফান্ডও করতে পারে। তবে দুর্বৃত্ত ও দুর্নাম থাকাদের সদস্য করা যাবে না। কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রতিটি স্তরে কমিটি গঠন করতে হবে। এখন যারা চাঁদাবাজি করছেন, তাদের বাদ দিতে হবে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান সমকালকে বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে যে দলটির সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, সেই দলটিই আজ আবার গণতন্ত্রের নতুন দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে এগিয়ে যাবে নতুন প্রজন্মের জন্য আগামীর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে। অদূর ভবিষ্যতে এটি হবে এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে থাকবে না ক্ষমতার দম্ভ অথবা আস্ফালন, থাকবে না অত্যাচার-নির্যাতন, থাকবে না দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি। সেখানে থাকবে মেধার মূল্য, যেখানে মানুষ বুকভরে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেবে, যেখানে কথা বলার অধিকার থাকবে, থাকবে ভোটের অধিকার, সর্বোপরি থাকবে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, যেখানে স্বৈরাচারী সরকারের বুলেটের গুলিতে আর কাউকে প্রাণ দিতে হবে না। এ মহান আদর্শে বিশ্বাসী হয়েই বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে যাবে। আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে বিএনপি অতীতের ভুলভ্রান্তি দূর করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপন সমকালকে বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনের বিজয়ের উচ্ছ্বাস বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক শক্তি উদযাপন করছে। এর পাশাপাশি নতুন নতুন প্রত্যাশাসহ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করাটাও এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপনের দিকে রয়েছে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ৬টায় ঢাকাসহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে বিএনপি। বেলা ১১টায় ঢাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। 

বাদ জোহর দলীয় কার্যালয়ের সামনে বন্যায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ নেতাকর্মীর আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা, খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে সারাদেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

আরও পড়ুন

×