সপ্তাহে ২-৩ দিন পালা করে সেবা দেন চিকিৎকরা
সীতাকুণ্ডের ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্র

মীরেরহাট মডেল কমিউনিটি ক্লিনিক প্রায়ই বন্ধ থাকে সমকাল
এম সেকান্দর হোসাইন, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪ | ০৮:১৪
‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গেলে মেডিকেল অফিসারকে পাওয়া যায় না। ঝড়-বৃষ্টির সময় প্রায় বন্ধ থাকে এসব হাসপাতাল। তাই কেউ যেতে আগ্রহী হন না। সবাই উপজেলা সরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি ক্লিনিকে ছোটেন।’ কথাগুলো বললেন সৈয়দপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা ইকবাল হোসেন।
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। জায়গা না থাকায় ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা সেবাকেন্দ্র হয়নি। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের ছোট একটা ৬০-৭০ বর্গফুটের মতো জায়গায় সেবা দিতে হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদে মাঝেমধ্যে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীরা এলেও তেমন চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় না।’ মুরাদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কমর বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র খোলা থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।’
সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রে লোকবল সংকটে নিয়মিত চিকিৎসা মেলে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহে ২-৩ দিন পালা করে চিকিৎসা দেন চিকিৎকরা। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। বাড়বকুণ্ড, সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা, সলিমপুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভবন মেরামত প্রয়োজন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন বলেন, ‘ভাটিয়ারীতে পরিবার পরিকল্পনা সেবাকেন্দ্র না থাকায় চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। উপজেলার অন্য ইউনিয়নে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ক্রমান্বয়ে চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া দুর্যোগকালীন চিকিৎসকরা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। রোগীদের কোনো সমস্যা হয় না।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, লোকবলের মধ্যে আয়া প্রয়োজন বাঁশবাড়িয়া, মুরাদপুর, বারৈয়াঢালা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দরকার বারৈয়াঢালা, সৈয়দপুর, মুরাদপুর, সলিমপুর, বাঁশবাড়িয়া ও বাড়বকুণ্ড স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। এ ছাড়া মা ও শিশু সেবাসহ প্রসবসেবার জন্য দক্ষ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রয়োজন মুরাদপুরে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের বলেন, ‘লোকবল সংকটের বিষয়ে
উপপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম অবগত আছেন। আশা করি সংকটের সমাধান হবে।’
সৈয়দপুরে ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা সেবা কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্ক জামেশেদ রহমান বলেন, ‘এ কেন্দ্রে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০জন রোগী সেবা নেন। তবে এখানে কোন ফার্মাসিস্ট নেই। গর্ববতী মহিলাদের সেবা দিয়ে থাকেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকিা রোজিনা আক্তার। তিনি স্বপরিবারে থাকেন এ কেন্দ্রে।’
- বিষয় :
- পরিকল্পনা