দেবে গেছে মেঘনা তীর রক্ষা বাঁধ

আলেকজান্ডার ও বড়খেরীর আড়াই কিলোমিটার অংশে বেড়িবাঁধের ব্লক ধসে গেছে সমকাল
রামগতি (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫ | ০০:৫৩
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস নেমেছে। অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রবল চাপে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা অতিদ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে উপজেলা সদর আলেকজান্ডার এবং বড়খেরীর বেড়িবাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধগুলো এখনও ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি স্থানীয়দের। এ বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে আশপাশের এলাকাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।
সরেজমিন উপজেলা সদর আলেকজান্ডার ও রামগতি মাছঘাট তীর রক্ষা বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আসলপাড়া লঞ্চঘাট থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার মেঘনা নদীর তীর রক্ষায় বেড়িবাঁধের ছোট-বড় ১০-১২টি স্থানে সিসি ব্লকের (সিমেন্ট কংক্রিটের ব্লক) নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ব্লকগুলো দেবে গেছে। এদিকে উপজেলার বড়খেরী এলাকায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে আট থেকে দশটি স্পটে সিসি ব্লকগুলো দেবে গেছে। বাঁধটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এ বাঁধটির বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হলে রামগতি বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলো চরম ঝুঁকিতে পড়বে।
আলেকজান্ডার বেড়িবাঁধ এলাকার চা দোকানি দুধা মিয়া জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে বেড়িবাঁধটির কয়েকটি জায়গায় নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সিসি ব্লক দেবে গেছে। এতদিনেও তা ঠিক করা হয়নি, বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলোর দ্রুত মেরামত জরুরি।
বড়খেরী বেড়িবাঁধ এলাকার বাদাম বিক্রেতা সুকুন্দু দাস জানান, নদীর প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে বেড়িবাঁধটির কয়েকটি জায়গায় দেবে গেছে। এতে করে ঝুঁকি বেড়ে গেছে। ঝুঁকি এড়াতে বাঁধটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।
পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আ ম ম নঈম বলেন, এলাকাগুলো আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আশা করি, আগামী অর্থবছরে তা সমাধান হয়ে যাবে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টিম ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। লঘুচাপের প্রভাবে নদীতে তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে এমনটা হয়েছে। এতে আলেকজান্ডার ও বড়খেরী এলাকায় তীর রক্ষা বাঁধে কিছু কিছু সিসি ব্লক ধস দেখা দিয়েছে। জরুরিভাবে বাঁধটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব ও ভারী বর্ষণে বেড়িবাঁধের কয়েক জায়গায় ধস ও বেড়িবাঁধের ওপরে গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে বাঁধের ক্ষতি হয়। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালে সরেজমিন দেখতে আসেন। আসা করছি, পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে।
- বিষয় :
- বাঁধ