ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

রাউজানে দানের টাকায় সড়কের কাজে বাধা

রাউজানে দানের টাকায়  সড়কের কাজে বাধা

খাসজমি বেদখলে থাকায় থমকে আছে রাউজানের ওয়াজেদ আলী চৌধুরী সড়কের উন্নয়নকাজ সমকাল

রাউজান (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা 

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২২:১৫

রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জনসাধারণের বহুদিনের দাবি ছিল একটি বিকল্প সড়ক তৈরির। বছরখানেক আগে তৎকালীন পৌর মেয়রের সহযোগিতায় স্থানীয়দের দানের জমি ও টাকায় সড়কটির কাজ শুরু হয়। প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ ও ১০ ফুট প্রশস্ত মাওলানা ওয়াজেদ আলী চৌধুরী সড়কের উন্নয়নকাজের জন্য স্থানীয়রা  জমি দান করেন। সড়কের একাংশ নির্মাণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। স্থানীয় মানুষের দানের টাকায় শুরু হয় আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ। প্রায় ২০ লাখ টাকায় নির্মিত সড়কটির পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি জমি দখল কর গড়ে ওঠা একটি কলোনি। অভিযোগ উঠেছে, সড়ক প্রশস্তকরণে সরকারি খাসজমি ছাড়তে নারাজ মোজাম্মেল হোসেন নামের অভিযুক্ত ব্যক্তি। 
স্থানীয় মনছুর হাসান চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি সড়কের জন্য খাস জায়গা উদ্ধার করতে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে রাউজান উপজেলা ভূমি অফিসের তহশিলদার সরেজমিন পরিদর্শন করেন। খাসজমি উদ্ধার করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমাপ করবেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় দানশীল ব্যক্তি মাওলানা এলাম সমকালকে বলেন, ‘আমাদের পরিবার থেকে ছয় শতক জমি সড়কের জন্য দেওয়া হয়েছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ টাকা দিয়েছে। এলাকার লোকজন থেকেও কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।’
খাস জায়গা উদ্ধারের জন্য আবেদনকারী মনছুর হাসান চৌধুরী বলেন, ‘পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাওলানা ওয়াজেদ আলী চৌধুরী সড়কটি আমাদের এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কটি আমরা মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করছি। অথচ সরকারি খাসজমির দখলদারিত্ব ছাড়ছেন না মোজাম্মেল হোসেন।’ 
অভিযোগের ব্যাপারে মোজাম্মেল হোসেন সমকালকে বলেন, ‘সড়কের জন্য পাশের নালাসহ যে পরিমাণ জমি আছে তা পর্যাপ্ত। অভ্যন্তরীণ সড়কের জন্য এর চেয়ে বেশি জায়গার প্রয়োজন নেই।’ সরকারি খাসজমি তার দখলে আছে, এটা স্বীকার করে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘ছয় ইঞ্চি বা ১ ফুটের মতো জায়গা আমার কলোনিতে ঢুকতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে রাউজান পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ওয়াশিম আকরাম সমকালকে বলেন, ‘স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বরাদ্দের টাকায় সড়কের একাংশের কাজ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সৃষ্ট জটিলতার বিষয়ে আমাদের কেউ অবহিত করেননি।’ 
এ বিষয়ে জানার জন্য রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মো. রিদুয়ানুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।     

আরও পড়ুন

×