সাতছড়ি খালের কালভার্ট ১০ বছর ধরে ভাঙা

চন্দনাইশের সাতছড়ি খালের কালভার্টটির সংস্কার হলে উপকৃত হবে আদর্শ গ্রামের মানুষ সমকাল
মুহাম্মদ এরশাদ, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৩:৪৩
চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড জামিজুরী হিন্দুপাড়া। হিন্দুপাড়া পার হয়েই জঙ্গল জামিজুরী আদর্শ গ্রাম। যেখানে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ১৬০টি সেমিপাকা ঘর; যা এখন নির্মাণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উপকারভোগীদের কাছে ঘরগুলো হস্তান্তর করার পর ওই এলাকায় বাড়বে জনসমাগম। কিন্তু দোহাজারী পৌরসদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সৃষ্টিতে বিভাজন সৃষ্টি করেছে সাতছড়ি খাল। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সাতছড়ি খালের কুদুমছড়ি নামক স্থানে একটি ডাবলবেন্ড কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। এরপর জঙ্গল জামিজুরীর সঙ্গে যোগাযোগ ক্ষেত্রে আসে আমূল পরিবর্তন। তখন সিএনজি, রিকশা, ভ্যান এলাকায় প্রবেশ করায় পেয়ারা, লেবু ও কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন সহজ হয়। কিন্তু কালভার্টটি নির্মাণের দুই বছরের মাথায় ভেঙে পড়ে খালে। কালভার্টটি ভেঙে পড়ার প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত হলেও পুনর্নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এছাড়া আদর্শ গ্রাম থেকে জামিজুরী হিন্দুপাড়া পর্যন্ত দেড় থেকে দুই কিলোমিটার সড়কটিও এখনও কাঁচা রয়ে গেছে। বর্তমানে আদর্শ গ্রামে নির্মাণাধীন ঘরের নির্মাণ সামগ্রী আনা-নেওয়া করার জন্য খাল ভরাট করে অস্থায়ীভাবে রাস্তা করা হয়েছে।
স্থানীয় সেলিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি জানান, জঙ্গল জামিজুরী আদর্শ গ্রামে সরকার নতুন করে ১৬০টি ভূমি ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য ঘর নির্মাণ করছে। এসব ঘরে মানুষ বসবাস শুরু করলেও তারা যাতায়াতে সুফল ভোগ করতে পারবে না। সাতছড়ি খালে নির্মিত কালভার্টটি ভেঙে পড়ে থাকায় আগের মতো রিকশা, ভ্যান, সিএনজি এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না। আর বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢল নামলে দোহাজারী পৌর সদরের সঙ্গে জঙ্গল জামিজুরীর সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী গৌতম দাশ জানান, খালের ওপারে জঙ্গল জামিজুরী কানুর ডেবা এলাকায় পূর্ব থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের বসবাস রয়েছে। অসংখ্য পেয়ারা ও লেবু বাগানের পাশাপাশি নানা ধরনের কৃষিজ পণ্য উৎপাদন হয়। ফলে শত শত কৃষক প্রতিদিন ক্ষেত খামারে যাতায়াত করে থাকেন। এর মধ্যে জঙ্গল জামিজুরী আদর্শ গ্রামে নতুন করে আরও ১৬০টি পরিবার পুনর্বাসিত হবে। তাদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতে সাতছড়ি খালের ওপর কালভার্টটি ব্যবহার করতেই হবে। তাই আদর্শ গ্রামে পুনর্বাসিত ১৬০টি পরিবারের সদস্য এবং পেয়ারা ও লেবু বাগানি এবং কৃষকদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতে সাতছড়ি খালে কালভার্ট পুনর্নির্মাণ এবং মাটির সড়কটি ব্রিক সলিং অথবা আরসিসি ঢালাই কাজ করলেই সুফল মিলবে। অন্যথায় জনদুর্ভোগ বাড়বে।
চন্দনাইশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর জানান, আদর্শ গ্রামে যাতায়াত স্থাপনকারী সাতছড়ি খালে নতুন কালভার্ট নির্মাণের ব্যাপারে ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এলজিইডি অফিসকেও অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া কাঁচা সড়কটি এইচবিবি দ্বারা উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি প্রকল্প পাঠানোর কথা বলেন তিনি।
- বিষয় :
- কালভার্ট