ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

কানাডায় এক বিকেলের আড্ডা

কানাডায় এক বিকেলের আড্ডা

আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩ | ১০:২৫ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩ | ১০:২৭

কানাডার আকাশে শ্রাবণের দেখা মেলে না। তবে প্রবাসী বাঙালির মনে ঠিকই উঁকি দিয়ে যায়। শ্রাবণকে বুকে ধরে তাই শিউলি ও কাশফুল ফোটা শরতের গান শোনে। 

বাংলার শ্রাবণ-স্মৃতির হাহাকার আর মনের দুয়ার খুলে উঁকি দিতে ক্যালগেরির প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হয়েছিলেন এক ভিন্ন রকম আড্ডায়। আড্ডা জুড়ে ছিল ‘দুদিন প্রবাসে আসি বৃথাই বাঁধিনু ঘর’- এমন বোধ।  

কর্মব্যস্ত জীবন থেকে বেরিয়ে এসে এই আড্ডা আর আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের আশির দশকের সময়কালের সংস্কৃতি থেকে বর্তমান কালের সংস্কৃতি। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে কানাডার আলোচিত প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিচ্ছেদ।

শিক্ষণীয় আর সময়োপযোগী আড্ডায় উঠে আসে বিচিন্তা পত্রিকার সম্পাদক মিনার মাহমুদের জীবন, সৈয়দ শামসুল হকের ‘খেলারাম খেলে যা’, রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ চিঠি’, রক্তকরবী, কাজী নজরুলের ‘নার্গিস’, জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’ আরও কত কী! 


 ‘পৃথিবীতে প্রেমে পড়ার মতো এমন সুখ আর কী হতে পারে? ভালোবাসলে যেমন কষ্ট পেতে হয়, তেমনি কষ্টের মধ্যে থাকে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা- এ এক অন্যরকম অনুভূতি। সবাই কি ভালোবাসা পায়? আবার কেউ কেউ না পেয়েও সুখী হতে চায়। ফুলের সৌরভ আর জীবনের গৌরব কি সবসময় থেকে যায়? মানুষ সমুদ্রকে ভালবাসতে ভয় পেলেও নদীর অপরূপ সৌন্দর্যে সে সব ভুলে যায়? বন্ধুত্বের ভালোবাসায় কি সব ভোলা যায়?’- এমন নানা প্রশ্নের সঙ্গে বিশ্লেষণভিত্তিক প্রগতিশীলতা নানা বিষয় প্রাধান্য পায় আড্ডায়।

ভালোবাসা হৃদয়ের আয়না- এই ধারণাকে বিশ্বাস করেই ক্যালগেরি প্রবাসী বাঙালিদের বিভিন্ন সংগঠনের গুণীজন মিলিত হয়েছিলেন এই আড্ডায়। যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যবস্থাপনা পেশাজীবী ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ইফতেখারুল ইসলাম এবং অনন্যা প্রকাশনীর মনিরুল হক। 

/এইচকে/ 

আরও পড়ুন

×