ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গণহত্যা দিবস পালন

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গণহত্যা দিবস পালন

ছবি: সংগৃহীত

নিউ ইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪ | ০৫:০৩ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪ | ০৫:০৩

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে দিবসটি পালন করা হয়।

আলোচনা পর্বে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত ১৯৭১ সালে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে, ইতিহাসের এই ভয়াবহ ঘটনার নথিসমূহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি, জাতীয়ভাবে এই নথিসমূহ স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত জানান, ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন কাজ করে যাচ্ছে। বর্বরোচিত এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মুহিত ১৯৭১ সালের গণহত্যার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোন ও ১ কোটি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, এর সূচনা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে চিরতরে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা এবং জাতি হিসেবে আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া। কিন্তু হানাদার বাহিনীর উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়নি। এর বদলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত্ব আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, যার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ৭১ এর গণহত্যার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আরও পড়ুন

×