ঈদ পোশাকের আনন্দ
মধুর ঈদের হাসি

ইয়ারজান বেগম
ইয়ারজান বেগম
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২২:৪০ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২২:৪৫
ঈদ মানেই আনন্দ আর রং ছড়ানো দিন। তরুণদের কাছে এসে ঈদ আরও বর্ণিল হয়ে ওঠে। সময়ের আলোচিত তিন তরুণ ঈদকে ঘিরে তাদের পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন। অনুলিখন আশিক মুস্তাফা, রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ ও সফিকুল আলম
আমার জন্য এই ঈদটা একটু অন্যরকম। কেননা, এবার আমি পরিবারের সদস্যদের ঈদ পোশাক উপহার দিচ্ছি। মনে পড়ে, এই তো সেদিন; ঈদের দিনেও ফুটবল খেলতাম। সকালে ঈদের নামাজ শেষে বিকেলে ওই মাঠেই বান্ধবীদের সঙ্গে ফুটবল খেলায় মেতে উঠতাম। ফুটবল খেলার মাধ্যমেই যেন ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পেতো আমার। সে যাক, দেশের বাইরে কোনো খেলায় বিজয়ের পর প্রথমবারের মতো নিজের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উৎসব উদযাপন করব এবার।
গত বছর ঈদে আমাদের সিনিয়র আপুরা ফেডারেশনেই ঈদ করেছেন। ভেবেছিলাম এবার আমাদেরও ঈদ করতে হবে ফেডারেশনে। কিন্তু না; শেষ পর্যন্ত পরিবারে সঙ্গে ঈদ কাটানোর ছুটি পেয়েছি। এই ঈদ আমার জন্য আরও বেশি স্পেশাল হয়ে উঠেছে যে জন্য তা হচ্ছে, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবারের সব সদস্যের জন্য জীবনের প্রথম ঈদের পোশাক কিনেছি আমি। ইতোমধ্যে অনেককে উপহার দিয়েছি। ছোট ভাইবোন, নানা-দাদার জন্যও কেনা হয়েছে। তবে এখনও বাবা-মা, ফুপিদের জন্য জন্য ঈদের পোশাক কেনা বাকি। আজ-কালের মধ্যে তাও হয়ে যাবে আশা করি। অনেকেই জানেন, আমাদের সংসারে অনেক অভাব-অনটন। এর মধ্যেও অতীতের কোনো ঈদই বিষাদের ছিল না। বাবা-মা কখনও কষ্ট বুঝতে দিতেন না। পরিবার এবং বান্ধবীদের সঙ্গে ভালোই ঈদ উদযাপন করে এসেছি।
গত ১২ মার্চ নেপালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক হিসেবে তিনটি গোল ঠেকিয়ে দিতে পেরেছি; এর মাধ্যমে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ; অনেকে এটা মনে করেন। আমি মনে করি দলের সব সদস্যের কারণেই এই জয় পেয়েছি আমরা। তবে সেই জয়ের পর দেশে ফিরে পঞ্চগড়ের হাড়িবাসা খোপড়াবান্দিতে নিজের এলাকায় এসেছি ৩০ মার্চ। এরপর থেকেই পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাকে সংবর্ধনা প্রদান করছে। এর মধ্যেও প্রতিদিন অনুশীলন করছি। ঈদ শেষে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে আবার ঢাকায় ফিরতে হবে ক্লাব পর্যায়ের খেলার প্রস্তুতির জন্য। যদিও এখন সেসব নিয়ে ভাবছি না। ভাবনায় এখন কেবলই ঈদ!
ফুটবলার
- বিষয় :
- ঈদ পোশাক