সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে

চলছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রিনিউ আর্থ’র ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম...
রুবেল মিয়া নাহিদ
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২২:৫৭
প্রত্যয় বিন শাফী। কুষ্টিয়া সদরের পূর্ব মজমপুর এলাকার ২০১৭ সালে স্বেচ্ছাসেবী কাজ শুরু করেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কুষ্টিয়া ইউনিটের পক্ষ থেকে তাঁর উদ্যোগে ১৫০টি পরিবারের ত্রাণ-সাহায্য নিয়ে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছুটে চলা দিয়ে শুরু। করোনার আগে মানবিক কাজ করেছেন। ২০২০ সালে করোনার শুরু থেকে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন। এলাকার মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গে নিয়ে হতদরিদ্র মানুষের খাবার, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। ওই সময় যুক্ত হন ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলার সঙ্গে। অসাধারণ কাজের মাধ্যমে খুব দ্রুতই পরিচিতি পান একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে। ২০২১ সালের জুন থেকে প্রায় তিন মাস কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিজস্ব উদ্যোগে রোগীদের পাশে থেকেছেন। বিভিন্ন সময় ওষুধ, অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পাশাপাশি একই সময় ‘সংযোগ’-এর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ মেলে তাঁর। অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছেন কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন জায়গায়। পাশাপাশি বাচ্চাদের পড়াশোনা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি, বই-খাতা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ২০২২ সালে বন্যায় ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশে খুলনা বিভাগের সবার সঙ্গে সমন্বয় করে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার প্রায় সাত শতাধিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
২০২৩ সালে শাফী জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ শুরু করেন। কুষ্টিয়া জেলায় গড়ে তোলেন ‘রিনিউ আর্থ’।
নিজের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রত্যয় বিন শাফী বলেন, ‘প্রথমে অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল এ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজে আগ্রহী তরুণদের যুক্ত করা। পরবর্তী সময়ে মাত্র আটজনকে নিয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে শুরু হয় রিনিউ আর্থের পথচলা। অনেক প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে আস্তে আস্তে কার্যকর হয়ে ওঠে এ সংগঠনটি। রাহুল, ফারিয়া, অনামিকা, তপু, সুবীর, মাহিন, তানিয়া, শোভন, প্রার্থনা– এ ক’জন নিয়েই শুরু হয়েছিল পথচলা। এখন বছর ঘুরতেই ৪০ জন ডেডিকেটেড ভলান্টিয়ার হয়েছেন এ সংগঠনটির।’u
- বিষয় :
- ত্রান সামগ্রী বিতরণ