ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

আপনার আচরণে কেউ কষ্ট পেলে

আপনার আচরণে কেউ কষ্ট পেলে

রাজ্যের সমস্যা বুকে নিয়ে পথ চলি আমরা। তবু কেউ পথ হারাই না যেন...

ফাহমিদা রিমা

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ | ২৩:৫৬

রাজ্যের সমস্যা বুকে নিয়ে পথ চলি আমরা। তবু কেউ পথ হারাই না যেন! তবে এসবের ভেতর কিছু সমস্যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত, যা আমরা ভাবতেই পারি না। আবার মাঝেমধ্যে এমন কিছু সমস্যার মুখোমুখি হই, যার সমাধানে আমাদের করণীয় কী– তা বুঝে উঠতে পারি না। হুটহাট উল্টাপাল্টা কিছু করতে গিয়ে বিশ্রী কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলি কেউ কেউ! এ সমস্যাগুলোরই একটি হচ্ছে কান্না। এটি আমাদের সবার জীবনে ধরা দেয় একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের মতো। আপনার প্রিয় মানুষটি বা পরিবারের কেউ হঠাৎ কেঁদে উঠলে এর উত্তর খুঁজে নিতে পারেন–
বিরক্তিকর ও যুক্তিহীন: হুট করে কেউ কেঁদে উঠল। এতে অবাক না হয়ে বরং একটু দম নিন। তারপর কাছে গিয়ে সহানুভূতি জানান। সঙ্গে কান্নার কারণটাও জানার চেষ্টা করুন। কারণ জেনে তাঁর ওপর সান্ত্বনা দিয়ে যান। এ কান্নাকাটির কারণ বিরক্তিকর ও যুক্তিহীন হলেও, আপনি আপনার বিরক্তি ভাবটা  প্রকাশ না করে কীভাবে কান্না থামানো যায়, সেই চেষ্টা করুন।
মনে থাকে বিপদের কথা: কখনও কারও কান্না দেখে হেসে উঠবেন না। এতে তাৎক্ষণিক একটা মন্দ আচরণের মুখোমুখি হতে পারেন; যদি মানুষটি ছোট হয়। মানুষটি বড় হলে আপনার প্রতি তাঁর একটা নেতিবাচক ধারণা জন্ম নেবে। কারণ মানুষ বিপদের সময়ের কথা খুব ভালো মনে রাখতে পারে!
সবুজ বাতি: কেঁদে ওঠা মানুষটির কোনো ভালো খবর যদি আপনার জানা থাকে, কান্নার সময় চাইলে সেই খবরটি দিয়েও কান্না নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। এই ভালো খবরের পথ যদি বন্ধ থাকে, তবে আপনার কাছে সে কখনও কোনো সাহায্য চায় এবং এর উত্তরে যদি ভালো কোনো আশ্বাস না পায় তবে কান্নারত অবস্থায় তাঁকে তাঁর চাওয়াটার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সবুজ বাতি জ্বালিয়ে দিন। 
গভীর থেকে: সেই মানুষটি আপনার শত্রু হলেও সে সময় ভেদাভেদ ভুলে তাঁর কাছে যান। গায়ে হাত রেখে শুনিয়ে দিন সান্ত্বনার বাণী। তাৎক্ষণিক এর ফল না পেলেও, এতে মূলত আপনিই লাভবান হবেন। অনেকেই অন্যের বিপদে হেসে ওঠেন। জানি, আপনি সেই হৃৎপিণ্ডহীনদের দলে নেই; তবু তাঁর কষ্টটা গভীর থেকে বোঝার চেষ্টা করুন। তারপর তাঁকে আপন করে বুঝিয়ে যান।
সবচেয়ে ছোট সদস্য: কেঁদে ওঠা মানুষটি যদি পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য হয়, তবে তাৎক্ষণিক ফলের জন্য তাকে চকলেট এনে দিতে পারেন। কিংবা যা সে পছন্দ করে, সেই পথে হাঁটতে পারেন। কান্নাকাটি করা মানুষটি যদি পরিবারের কোনো মেয়ে সদস্য হয়, তবে কান্না থামানোর জন্য কোনো যুক্তিতর্কের আশ্রয় না নিয়ে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ঠান্ডা মাথায় তাকে শান্ত করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে তাকে সময় দিন। যাতে সে কান্নার কারণ আপনার কাছে তুলে ধরতে পারে। 
লুকানো দাওয়াই: কান্নার দাওয়াই কিন্তু আশপাশের মানুষের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে। বলি, নিজের কাছে থাকা দাওয়াইটা যথাযথভাবে কেঁদে ওঠা মানুষটিকে দিয়ে শান্ত করে তুলুন। তবে আবেগের বশবর্তী হয়ে আবোল-তাবোল কিছু করতে যাবেন না। পৃথিবীর সব কান্না সুখের হোক। 

আরও পড়ুন

×