ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

পরিবারকে গর্বিত করার কথা ভাবুন

পরিবারকে গর্বিত করার কথা ভাবুন

পেইজি স্পিরানাক

পেইজি স্পিরানাক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:৫০

পেইজি স্পিরানাক। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোয় জন্ম নেওয়া আবেদনময়ী তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল গলফার। আলোচিত এই গলফারের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে অনুপ্রেরণার কথা তুলে এনেছেন ইমাম হোসেন মানিক 

আমার বেড়ে ওঠা অ্যারিজোনায়। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি ছিল প্রবল টান। প্রথম দিকে হয়ে উঠেছিলাম জিমন্যাস্ট হিসেবে। তবে কৈশোরে পা রেখেই গলফের প্রতি সুতীব্র আকর্ষণ অনুভব করতে থাকি। কঠোর পরিশ্রম আর মেধার স্বাক্ষর রেখে ধীরে ধীরে গড়ে উঠি একজন প্রতিশ্রুতিশীল গলফার হিসেবে।  
সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে
অনেকের কাছেই গলফ একটি একঘেয়ে ও বিরক্তিকর খেলা! ফলে খুব কম দর্শককেই এটি আকৃষ্ট করে। কৈশোরে গলফ খেলায় নাম লেখানোর পর বন্ধুদের কাছ থেকে এ জন্য কম টিপ্পনী শুনতে হয়নি। তাই শুরুর দিক থেকেই ঠিক করি, শুধু খেলবই না, বরং খেলাটির পক্ষে প্রচারণাও চালাব। সেই চেষ্টা করি এবং অবাক হয়ে দেখি, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার পোস্টগুলো রাতারাতি ভাইরাল 
হতে থাকে। 
হাঁটুর হাড়ে চিড় ও গলফে আশ্রয়
গলফে ক্যারিয়ার শুরু করার পর এলিট জিমন্যাস্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার স্বপ্নও বুনছিলাম। কিন্তু আচমকা এক ভয়াবহ ইনজুরিতে পড়তে হয় আমাকে। চিড় ধরে হাঁটুর হাড়ে। তবু জিমন্যাস্ট হিসেবে ফিরে আসার অদম্য ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ইনজুরিটি এতই দুর্বিষহ ছিল যে, মাত্র ১২ বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকসের দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে যেতে হয় অকাল অবসরে। তাই বলে খেলার জগৎ ছেড়ে দিইনি আমি। নানা ধরনের খেলায় ট্রায়াল দিতে দিতে গলফেই খুঁজে পাই স্বস্তির আশ্রয়।
ইনস্টাগ্রামের ছবি ও প্রেরণার নেপথ্যে…
গলফে একটি সফল জুনিয়র ক্যারিয়ার কাটিয়ে আমি পা রাখি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। ভর্তি হই ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয় গলফ দলের অধিনায়িক নির্বাচিত হই। স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্যপদও পেয়ে যাই। সিনিয়র ইয়ারে এসে দেখি, নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গলফ খেলার যে ছবিগুলো আপলোড করেছি, সেগুলো দিয়ে তৈরি করা একটি ইউটিউব ভিডিও রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গেছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে ইতিবাচক মন্তব্য ও উৎসাহই আমাকে উদ্বুদ্ধ করে খেলাটিকে পেশায় পরিণত করার।   
প্রতিনিয়ত নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়
পরিবার, বাবা-মা আমাকে নিরন্তর প্রেরণা জোগান। আমার জন্য যে কোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে তারা সদাপ্রস্তুত। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই আমি ভাবতে থাকি, কীভাবে তাদের গর্বিত করা যায়। ফলে কঠোর পরিশ্রম করতে একবিন্দুও পিছপা হই না। কেননা, আমার জন্য তারা যা করেছেন, সে তুলনায় আমার এ পরিশ্রম খুবই তুচ্ছ ব্যাপার! আমি প্রতিদিনই নিজেকে নতুনভাবে ঝালাই করে নিতে চাই। এটিই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রতিনিয়ত নিজেকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিরন্তর এক তাগাদা অনুভব করি। u

আরও পড়ুন

×