সেতুটি ভেঙেছে দেড় বছর আগে, দুর্ভোগ

লোহাগড়ার কচুবাড়িয়া এলাকায় নবগঙ্গা নদীর ওপর ভেঙে পড়া কাঠের সেতু - সমকাল
মো. রেজাউল করিম, লোহাগড়া (নড়াইল)
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৩ | ১১:২৯ | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭:২৯
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কচুবাড়িয়া এলাকায় নবগঙ্গা নদীর ওপর কাঠের একটি সেতু প্রায় দেড় বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে।
এতদিনেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতাল, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালতে যেতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে নবগঙ্গা নদীতে কাঠের সেতুটি নির্মাণ করে লোহাগড়া পৌরসভা। এতে জয়পুর, চোরখালী ও গোফাডাঙ্গা এলাকার সঙ্গে কচুবাড়িয়া, রামপুর ও কাশিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ ঐতিহ্যবাহী এড়েন্দা হাট, উপজেলা সদর এবং জেলা শহরে যাতায়াত সহজ হয়েছিল।
গত বছরের জুন মাসের শেষ দিকে বালু ব্যবসায়ীরা রাতে নিচ দিয়ে ড্রেজার মেশিন নেওয়ার সময় ধাক্কা লেগে সেতুটি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। চোরখালী গ্রামের উত্তম কুমার দাস ও খাইরুল ইসলাম জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলায় যেতে হয়। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা, সময়ও নষ্ট হয়। কাঠের সেতুটি দিয়ে পার হয়ে এলাকার লোকজন সহজে নড়াইল সদর হাসপাতাল ও অফিস-আদালতে যাতায়াত করতেন বলে জানান ধোপাদাহ গ্রামের সবুজ মিয়া। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এখন যাতায়াত কঠিন হয়ে গেছে তাদের। জয়পুর গ্রামের কৃষক কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, ধান-পাট নিয়ে কাঠের সেতু দিয়ে অল্প সময়ে এড়েন্দা হাটে যাওয়া যেত। কিন্তু ২০ মিনিটের পথ এখন ঘুরে যেতে দেড়-দুই ঘণ্টা লাগছে। সেতু নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, পৌরসভার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের মানুষের সহজে যাতায়াতের জন্য দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হোক।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ফারুক হোসেন ও বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল বলেন, নবগঙ্গা নদীর সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় মানুষের পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি পৌর মেয়রকে জানানো হয়েছে। মেয়র সৈয়দ মসিয়ুর রহমান বলেন, সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ীভাবে কংক্রিটের সেতু নির্মাণের চেষ্টা চলছে।