দেয়াল সাজাতে ঘড়ি

আজহার মাহমুদ
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪ | ০৭:৩৯
আধুনিক সময়ে ঘর সাজানোর জন্য অনেক দামি ইন্টেরিয়র ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হচ্ছে। নানা ধরনের আসবাব ঘরে শোভা পাচ্ছে। তবুও অনেকেই মনের মতো ঘর সাজাতে পারছেন না। কিংবা পুরো ঘরে সবকিছু দিয়ে সুন্দর পরিপাটিভাবে উপস্থাপন করলেও মনে হয় কী নেই, কী নেই। নান্দনিকভাবে ঘর সাজানোর জন্য তাই একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। সেই পুরোনো আমলের দেয়ালঘড়িটাই হতে পারে আপনার ঘরের একখণ্ড অপূর্ণতা। দেয়াল ঘড়িই পারে ঘরের সাজকে পরিপূর্ণ করে দিতে।
আজকাল দেয়াল ঘড়ি শুধু সময় দেখার জন্যই নয়, ঘরের নান্দনিকতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। ঘর সাজাতে দেয়াল ঘড়ির ব্যবহারও অনেক পুরোনো। ঘড়িকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে অন্দরে দৃষ্টিনন্দন আবহ তৈরি করে এখন ঘরের আবহও পরিবর্তন করা সম্ভব। শোবার ঘর, পড়ার ঘর, অতিথির ঘর, খাবার ঘর, বসার ঘর, শিশুর ঘরসহ সব ঘরেই দেয়াল ঘড়ি শোভা পায়।
এ বিষয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার মোহাম্মদ তানবির ইসলাম জানান, দেয়াল ঘড়ি দিয়ে ঘর সাজানোটা বেশ দারুণ। তবে মনে রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে ঘরের দেয়ালকেও প্রাধান্য দিতে হবে। হালকা রঙের দেয়ালে গাঢ় এবং গাঢ় রঙের দেয়ালে হালকা রঙের ঘড়ি দেখতে ভালো লাগবে। এ ছাড়া দেয়াল ঘড়ির মাধ্যমে চাইলে ঘরের লাইটিং রিফ্লেকশনও করতে পারেন। এতে ঘরের সৌন্দর্য আরও বহুগুণে বেড়ে যায়।
দেয়াল ঘড়ি বা টেবিল ঘড়ি যেটাই হোক না কেন, যে ঘরেই টানাবেন তার ওপর নির্ভর করে কিনুন। কেননা, এতে আপনার রুচিরও প্রকাশ পাবে। কাঠের আসবাব বেশি আছে, এমন ঘরের ক্ষেত্রে কাঠের বা কাঠরঙা ঘড়ি বেছে নিলে সেটি ভালো লাগবে। শোবার ঘরের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে সাদামাটা নকশার ঘড়ি।
আবার আপনি ঘড়িকে শোপিস হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেকে এভাবেও ঘড়ি রাখেন। এ ক্ষেত্রে এটিকে টেবিল ঘড়ি বলা হয়। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বর্তমানে ব্যাটারিচালিত ঘড়ির পাশাপাশি রিচার্জেবল ঘড়িও পাওয়া যায়। এ ছাড়াও দেয়াল ঘড়িতে আছে নানা রং আর আকারের ভিন্নতা। কোনোটি মাছের মতো, কোনোটি আবার সাইকেলের মতো। কোনোটি গোল, কোনোটি আবার পশুর ডিজাইনেরও আছে। কিছু ঘড়ি পুরোনো আমলের ডিজাইনের, কিছু আছে আবার ত্রিভুজ, চতুর্ভুজসহ নানা আকৃতির। সব মিলিয়ে মার্কেটে এসব ঘড়ির চাহিদার পাশাপাশি ব্যাপক আকারে ডিজাইনও এনেছে।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার মোহাম্মদ তানবির ইসলাম আরও বলেন, অর্ডার দিয়েও ঘরের জন্য দেয়াল ঘড়ি বানাতে পারবেন। নকশা করা নানা ধরনের দেয়াল ঘড়ি আপনি আপনার পছন্দমতো তৈরি করিয়ে নিতে পারবেন। এমনকি আপনার রুম অনুযায়ী দেয়াল ঘড়ি বানাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কাঠ, বাঁশ, স্টিল, প্লাস্টিকের ঘড়িও আপনি তৈরি করাতে পারেন।
এ ছাড়া ঘরের দেয়ালেও সরাসরি ঘড়ি ফিটিং করতে পারেন। এতে দেয়ালকে কেন্দ্র করে ডিজাইনটা করা সহজ। তবে এসব ডিজাইন সব দেয়ালেও করা যায় না, কিছু নির্দিষ্ট দেয়ালে করা যায়। এ ছাড়া কাস্টমাইজ করা ঘড়ির ক্ষেত্রে অবশ্যই রুমের পজিশন ও রুমের সাইজসহ সবকিছু বুঝেশুনে তার পর তৈরি করা উচিত বলে জানান মোহাম্মদ তানবির ইসলাম।
মানভেদে ঘড়ির দাম
দেয়াল ঘড়ি হোক আর টেবিল ঘড়ি হোক সবকিছুরই দাম ঘড়ির গুণগতমানের ওপর নির্ভর করে হয়। অনেক সময় বাজারে কিছু কিছু ঘড়ির নকশা দেখে মুগ্ধ হতে পারেন। দামেও সাধ্যের মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঘড়ির গুণ অনেক সময় যাচাই করা হয়ে ওঠে না। তাই ভালো ঘড়ি সংগ্রহ করতে চাইলে অবশ্যই গুণের দিকেও নজর রাখতে হবে। বাজারে এসব ঘড়ির দাম মানভেদে ৬০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। v
- বিষয় :
- ঘড়ি