ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ভূরাজনীতির বর্তমান

ভূরাজনীতির বর্তমান

ইমতিয়াজ আহমেদ

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩ | ০২:৪৫ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ | ০২:৪৫

মানুষ ভূরাজনীতি তৈরি করে। ভূরাজনীতি কিন্তু মানুষকে তৈরি করে না। এ কথা বলার কারণ খানিকটা ব্যাখ্যা করা যাক। বাংলাদেশ এখন ভূরাজনীতির দিক থেকে একটা আলাদা মনোযোগ পাচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ গত বায়ান্ন বছরে কিছু লক্ষণীয় পরিবর্তন আনতে পেরেছে। যে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, তা এখন অর্থনীতির দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটা মডেল হিসেবে দাঁড়াতে পেরেছে।

স্বাভাবিকভাবেই সত্তরের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ এক না। বর্তমান বাস্তবতায় আসার পেছনে বর্তমান বিশ্বের দুটো বাস্তবতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এক, বিশ্বায়ন। দুই, মাল্টিপোলারিটি– বাংলায় বলা যায় বহুকেন্দ্রিকতা।

পৃথিবী একসময় ইউনিপোলার বা এককেন্দ্রিক ছিল। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সময়ের শেষ শান্তিপূর্ণ পর্যায়, যাকে ‘প্যাক্স ব্রিটানিকা’ বলা হয়, তা বজায় ছিল। এরপর প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মিলে ব্রিটিশ আধিপত্য খর্ব হয়। মানুষ একটা বাইপোলার বা দ্বিমেরু বা দ্বিকেন্দ্রিক বিশ্বে প্রবেশ করে। যে বিশ্ব মার্কিন ও সোভিয়েত শক্তিবলয়ে বিভক্ত ছিল। বাংলাদেশের আবির্ভাব সেই বাইপোলার সময়ে। সবারই জানা আছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন বড় আকারে আমাদের সাথে ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করেছে।

সেখান থেকে পৃথিবী আরও পরিবর্তিত হতে শুরু করল যখন গর্বাচেভ এসে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভেঙে দিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার ফলে আবার এককেন্দ্রিক বিশ্বে প্রবেশ করল মানুষ। নতুন সেই এককেন্দ্রিক বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্রকে ঘিরে আবর্তিত হতে থাকল। অনেকেই মনে করেন ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক সেই আবর্তন কিছুটা কমে এলো। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিপত্য ভাঙতে শুরু করল এবং উত্থান হলো আরও বেশ কয়েকটি দেশের। আর এটিকেই আমরা বলছি মাল্টিপোলার বা বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব।

এখানে চীন জেগে উঠেছে, ভারতও। উত্থান ঘটেছে ব্রাজিল, তুরস্কেরও। অর্থাৎ একাধিক দেশ জেগে উঠেছে। উপনিবেশবাদের প্রভাব অন্তর্হিত হওয়াটাও এর একটা কারণ। গত পাঁচ দশকে উপনিবেশবাদের প্রভাব প্রায় শেষ হয়ে গেছে।

লক্ষণীয়, এর আগে পৃথিবী কখনও মাল্টিপোলার বা বহুকেন্দ্রিক পর্যায়টা দেখেনি। অনেকে বলে থাকেন, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কার্যক্রম এক হিসেবে বিশ্বায়ন। এটা ঠিক নয়। কারণ, বিশ্বায়ন হলো ডেমোক্রেটিক ক্যাপিটালিজম বা গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদের ফল। পুঁজিবাদের যে ডায়ালেকটিক বা দ্বান্দ্বিকতা এবং বিকাশ, তার ফল। উন্নত বা পশ্চিমা বিশ্বে যখন লভ্যাংশ কমে আসতে শুরু করল, তখন পশ্চিমারা ভাবল, লভ্যাংশ যদি বাড়াতে হয় তাহলে শ্রমিক-খরচ কমাতে হবে। কাজগুলো যদি বিদেশে করাতে পারি, তাহলে শ্রমিক-খরচ কমে লভ্যাংশ-মাত্রা বেড়ে যাবে।

চীন এই বিশ্বায়নকে দ্রুত গ্রহণ করল। এই বিশ্বায়ন আর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিন্তু এক না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঔপনিবেশিকতার আদর্শধারী। ঔপনিবেশিকতার নিজস্ব শর্তমতে তাদের সমস্তই আত্মসাৎ করতে হয়েছে। কিন্তু এই বিশ্বায়নে একটা উইন-উইন সিচুয়েশন হয়; জিতে যায় দুই পক্ষই। বাংলাদেশের উত্থানও এই বিশ্বায়নের কারণে। আমরা তৈরি পোশাক খাতের কথাই বলি অথবা বৈদেশিক মুদ্রার জোগান– সবই কিন্তু বিশ্বায়নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

আরেকটু তলিয়ে দেখলে বলতে হবে, বহুকেন্দ্রিকতা এখনও পুরোপুরি আসেনি। তবে তার আবির্ভাব এবং বজায় থাকার প্রক্রিয়াটা চালু হয়ে গেছে। যে কারণে আমরা বিআরআইর (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ) কথা শুনছি, ব্রিকসের (২০১০ সালে স্থাপিত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মিত্রজোট) কথা শুনতে পাচ্ছি। ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যালায়েন্স বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক জোট তৈরি হচ্ছে, কোয়াড (কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) শুরু হচ্ছে।

এই বিষয়গুলো প্রমাণ করছে, আগের পৃথিবী আর নেই। একটা নতুন পর্যায় উপস্থিত হয়েছে। এখানে বাংলাদেশও আর আগের অবস্থায় নেই যে একটা দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে। একাধিক দেশ যখন সামনে আসছে, তখন সুযোগ-সুবিধাও আসছে। সহায়তাও বাড়ছে।

এর একটা বড় উদাহরণ হতে পারে পদ্মা সেতু তৈরি। পদ্মা সেতুতে সহায়তা দিতে বিশ্বব্যাংক বা পশ্চিমারা অস্বীকৃতি জানাল। তখন বাংলাদেশ বসে থাকেনি। নিজেদের অর্থায়নেই এর নির্মাণযজ্ঞে হাত দেয়। এরপর চীন পাশে এসে দাঁড়াল। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেলসংযোগও জড়িত ছিল। সব মিলিয়ে চীন অতুলনীয় কারিগরি সহায়তা দিল।

এটা বিশ্বব্যাংকের জন্যও একটা শিক্ষা ছিল। বাংলাদেশ আর সেই জায়গায় নেই যে বিশ্বব্যাংক না বলল, আর বাংলাদেশও বসে থাকল। এখন অনেক দেশ এগিয়ে আসে। মূলত বিআরআই (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ; আগস্ট ২০২৩-এর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশসহ অন্তত ১৫৫টি দেশ বিআরআই সংগঠনভুক্ত)। বিআরআই বড় আকারের অবকাঠামোগত সহায়তা দিয়ে থাকে।

বর্তমানে এই যে মাল্টিপোলার পর্যায়; উত্থান পর্বে নানান দেশ আমরা পাচ্ছি, এদের তালিকায় কিন্তু অনেক যোগবিয়োগ হবে। রিজিড বা স্থায়ী কোনো মাল্টিপোলারিটি হবে না। সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই এই বিশ্বায়নের কারণেই। এটাকে ইংরেজিতে বলি– ফ্লুইড মাল্টিপোলারিজম। এই বহুকেন্দ্রিকতায় তারল্য আছে। এটা আকার বদল করবে, অদলবদল ঘটবে। একটা দেশ যখন উৎপাদন করছে, তখন দেশটি আর একটামাত্র দেশকে সাথে নিয়ে উৎপাদন করছে না। একাধিক দেশ জড়িত থাকছে। 

এখন সীমাবদ্ধতা বা সমস্যাটা কোথায়। পশ্চিমারা বলতে চাইছে, আমাদের সারপ্লাস (উদ্বৃত্ত) অর্থাৎ উন্নয়ন বড় আকারে তাদের সঙ্গে যুক্ত সারপ্লাসের মাধ্যমে হয়েছে। যখন কিছু কিনতে বা বানাতে চাই, তখন চীন বা রাশিয়ার কাছ থেকে এই সারপ্লাস আমরা গ্রহণ করি। কারণ, একটা পুঁজিকেন্দ্রিক বিশ্বে বাংলাদেশ দেখবে কার কাছে কতটা কম খরচে তার প্রয়োজন মিটবে। এরই ধারাবাহিকতায় একাধিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রশ্নে চীনের কাছে যাওয়া, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পারমাণবিক প্রকল্প প্রশ্নে রাশিয়ার কাছে যাওয়া। আমরা যে সামরিক উপকরণাদি কিনি, সেখানেও বিক্রেতা চীন।

যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, তুমি লাভ করছ আমার মাধ্যমে, আর খরচ করবে অন্য দেশে, সেটা হবে না। আমার কাছ থেকেই কিনতে হবে। কিন্তু আমাদের যে লাভটা হয়, তা দিয়ে যদি আমরা আমেরিকায় খরচ করি, তাহলে আমাদের টাকা দ্রুত ফুরিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র যে এমনটা বাংলাদেশের সঙ্গেই শুধু করছে, তা নয়। একই ব্যাপার তারা জার্মানির সঙ্গেও করছে।

জার্মানির একটা বিশাল ‘সারপ্লাস’ আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ‘আমার কাছে তোমার অত বড় সারপ্লাস, তুমি আমার কাছ থেকে লাভ করছ; আবার আমার ১১৯টা সামরিক ঘাঁটি আছে তোমার ওখানে– তোমাকে নিরাপত্তা দেয়। অথচ তুমি সম্পর্ক করতে চাইছ রাশিয়ার সাথে, তার কাছ থেকে গ্যাস কিনছ। এটা চলবে না। আমার কাছ থেকে কিনতে হবে।

জার্মানি তা করলে প্রচুর খরচ হবে। আর ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সেটাই করাতে চাইছে।

কাঠামোর কারণে বাংলাদেশ একই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আমার সঙ্গে তোমার ‘সারপ্লাস’ এবং তোমার যে অভিজাত আছে, তারাও পশ্চিমামুখী– তাদের ছেলেমেয়েরা প্রায় সবাই এখানে, সুতরাং তোমাকে আমার সঙ্গে সুবোধ হয়ে থাকতে হবে, যা বলব করতে হবে।

আর সেই জায়গা থেকে আসছে ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা, র‌্যাবের ওপর চাপ। যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে সামরিক উপকরণ কিনুক। আর কেনা মানেই, মার্কিন নিরাপত্তা কাঠামোর ভেতর ঢুকে পড়া। সেটা বাংলাদেশের জন্য সম্ভব নয়। কারণ, আমাদের কাঠামো বন্ধুত্বপূর্ণ। বৈরিতা নয়।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে যদি সামরিক ও নিরাপত্তার উপকরণগুলো কিনতেই হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই চীন, রাশিয়া দূরে চলে যাবে। সেটা আমাদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হবে।

এখানে যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে হবে, আমরা জার্মানি না। একটা ছোট দেশ, প্রচুর লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, বেকার, করোনা মহামারিতে যা আরও বেড়ে গেছে। আমার ওপর কেন চাপ দিচ্ছ। চাপটা তারা দিতে পারছে, কারণ আমরা তেমন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। এখানে নির্বাচনসহ সরকারের বিভিন্ন বিধিবিধানগত দুর্বলতা রয়েছে। এগুলো ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র সুযোগ তৈরি করে। বিরুদ্ধ দল, গণমাধ্যমও ক্ষেত্রভেদে সুযোগ করে দেয়। সব মিলিয়ে খবরদারিটা করার সুযোগ যুক্তরাষ্ট্র পেয়ে যায়। আজ অন্তত বড় বড় দলের ভেতর যদি এত বেশি বিভাজন না থাকত, তাহলে সে বলতে পারত না। যদি গণতান্ত্রিক কাঠামো এত ঘাটতি না থাকত, যুক্তরাষ্ট্র বলতে পারত না। সেসব ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রেরও আছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তো পরাশক্তি। অতএব নিজেদেরটা এড়িয়ে বাংলাদেশকে তারা এই চাপটা দিতে পারছে।

এই বিশ্বায়ন এবং এই বহুকেন্দ্রিকতা– এটা থামানোর কোনো উপায় নেই। শুধু চীনের নয়, ভারতেরও একটা উত্থান ঘটেছে, আরও ঘটবে। একইভাবে ব্রাজিলেরও উত্থান বড় আকারেই হবে। তুরস্কেরও তাই। সৌদি আরবও আছে। জাপান তো আছেই। আর রাশিয়ারও আবার একটা উত্থান হয়েছে। বিভিন্ন দেশের উত্থান ঘটছে। এর ভেতর বাংলাদেশও রয়েছে।

ফ্লুইড মাল্টিপোলারিটি বা তরল বহুকেন্দ্রিকতা এখন ক্রিয়াশীল। সুতরাং আমরা যে কোনো একদিকে ঝুঁকে যেতে পারছি না। আমাদের এখন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজেদের আচরণিক ঘাটতি– নির্বাচনে বিঘ্ন, বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রভৃতি যথাদ্রুত দূর করতে হবে। তাহলে পশ্চিমারা চাপটা সহসাই দিতে পারবে না।

সন্দেহ নেই, তখন অন্য পথে চাপ আনবে। বিচারব্যবস্থা যারপরনাই খারাপ, এমন অনেক দেশের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র সুসম্পর্ক রেখেছে। তারা স্বভাবতই তাদের জাতীয় স্বার্থ দেখবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান কী? পাঁচ বছর হয়ে গেছে। তারা মিয়ানমারের ওপর এমন কোনো চাপ দেয়নি যে মিয়ানমার নড়েচড়ে উঠবে।

তবে এগিয়ে এসেছে চীন। পাইলট প্রকল্প দিয়ে শুরু। আস্তে আস্তে রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয়-প্রশ্নে এগিয়ে চলেছে। তাদের দেওয়া প্রস্তাবনায় বলেছে, ‘রুট-কজে’ যেতেই হবে। সবাই জানে রুট-কজ হলো রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দেওয়া ইস্যু। এখানে চীনের মতো আরও কেউ এগিয়ে আসতে পারে যেন একটা ত্রিপক্ষীয় সমাধান ঘটে। ভারত ও জাপান এগিয়ে আসতে পারে। তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক যেমন ভালো, বাংলাদেশের সম্পর্কও ভালো।

যখন একাধিক ত্রিপক্ষীয় প্রস্তাবনা আসতে থাকবে, তখন মিয়ানমারেও একটা নড়চড় আসবে। উল্লেখ্য, মিয়ানমার এখন একটা গৃহযুদ্ধের পর্যায়ে উপনীত। আন্তর্জাতিক মহলেও তার বন্ধু আর আগের মতো নেই।

আমাদের কাজ হবে, আমাদের ওপর চাপ দেওয়ার পথগুলো বন্ধ করা। আর বড় পেশাদারিত্বের মাধ্যমে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।

পশ্চিম যদি দেখে, বাংলাদেশ নিরাপত্তা-প্রশ্নে কোনো বিশেষ দেশের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে না, তখন তা তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে এবং তারাও চাপ শিথিল রাখবে।

চীন ছাড়াও রাশিয়াসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা বাংলাদেশে আসছে। এটা নতুন মোড়। এ নিয়ে ঘাবড়াবার কিছু নেই। দেশের সার্বিক কাঠামোটা বায়ান্ন বছরে বদলানো গেছে বলেই হচ্ছে। এই কাঠামো যদি বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারে, এই আসা-যাওয়া বাড়বে। কমার কথা নয়।

লেখক: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরও পড়ুন

×