দ্রব্যমূল্যের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি কেন?

আনু মুহাম্মদ
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩ | ০৩:২০ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ | ০৩:২০
আমরা দেখেছি করোনার সময় নিম্ন এবং অনিশ্চিত আয়ের মানুষসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ খুবই বিপর্যস্ত অবস্থা পার করেছে। এদের প্রধান অংশ প্রায় পাঁচ কোটিরও বেশি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে স্বনিয়োজিত মানুষ, যাদের স্থায়ী কাজ ছিল না, সঞ্চয়ের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। লকডাউনের কারণে চলাফেরা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাবেচা, বিভিন্ন ধরনের তৎপরতায় যখন নিয়ন্ত্রণ আরোপিত হয়, তখন বিশাল অংশের মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। ফলে ভয়াবহ সংকটে পতিত হয় বিভিন্ন খাতের মজুর, ফুটপাতসহ বিভিন্ন ধরনের হকার, বিভিন্ন ধরনের ছোট ব্যবসা, অস্থায়ী কাজ, টিউশনি ইত্যাদি জায়গায় যুক্ত লোকজন।
করোনা পরিস্থিতি পার হতে হতে বহুজনে ঋণগ্রস্ত হয়ে গেছেন, অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে, চিকিৎসা অনেকের ঠিকমতো হয়নি, এ রকম একটা অবস্থায় জিনিসপত্রের দাম বাড়া শুরু করল। করোনার পর সবাই যখন নতুন করে গোছাতে চেষ্টা করছেন, তখনই আবার দামবৃদ্ধির সংগঠিত আক্রমণ। এর মধ্যে আবার অনিয়ন্ত্রিত ডেঙ্গু। মানুষ টিকে থাকতে পারছে না, প্রতিটি পরিবারে একজনের বদলে একাধিক জনের আয়-উপার্জন, নির্দিষ্ট আয়ের বাইরে আয়ের নানা পথ অনুসন্ধান, কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি, প্রবাসী আয়ের চেষ্টা, বিভিন্ন ধরনের ঋণ বাজারে যোগাযোগ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে মানুষ প্রাণপণে চেষ্টা করছে বেঁচে থাকতে। খাদ্য ও পুষ্টিগ্রহণে নিম্নতম প্রয়োজনীয় মাত্রা অব্যাহত রাখতে না পারায় অপুষ্ট ও অসুস্থ জনসংখ্যাও বাড়ছে, বেশি বিপদগ্রস্ত নারী ও শিশু। আয় অপরিবর্তিত থেকে ক্রয়দ্রব্যাদি বা পরিষেবার দাম বৃদ্ধির অর্থ হলো মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাওয়া, মানে একই আয়ে আরও কম কিনতে পারা।
গত কিছুদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধির আক্রমণ আর থামছে না। একটার একটু কমে তো আরেকটা বাড়ে। সরকারের ভূমিকায়, কথাবার্তায় মনে হয় দাম বৃদ্ধিতে মানুষের ভোগান্তি বোঝার ক্ষমতা কিংবা ইচ্ছা কোনোটাই তাদের নেই। উল্টো ডিমের দাম বৃদ্ধি সামাল দেওয়ার জন্য ‘আর কোনো উপায় না দেখে’ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। দেশে স্যালাইনের চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি করার সক্ষমতা আছে। কিন্তু তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না, অনেক দামে কিনতে হচ্ছে। এর কারণ সন্ধানের কোনো চেষ্টা না করে সরকারের লোকজন এর আমদানির সম্ভাবনার কথা বলছে। আলুর দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার পর আলু নিয়েও একই তৎপরতা শুরু হয়েছে। এর বাইরে বাড়তে থাকা বাসভাড়া, বাসাভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত বিল এগুলোও চলছে। সরকারের কর ফি যে বাড়ছে, তাও টের পাচ্ছে মানুষ নানাভাবে।
এসব জিনিসপত্র এবং পরিষেবার কোনো কোনোটির দাম বাজারে নানা প্রকাশ্য-গোপন প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত হয়, আর কোনো কোনোটির দাম নির্ধারণ করে বা বৃদ্ধি করে সরকার। দুই ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রীয় নীতি, পদক্ষেপ এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের অজুহাত ধরে সরকার প্রথমে তেলের দাম বাড়াল। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বাড়তি ছিল, এরপর এ কারণে আবার সবকিছুর দাম হু হু করে বাড়তে থাকল। এরপর সরকার আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াল, আবার বাড়াল গ্যাসের দাম। এসবের প্রত্যেকটাই হলো শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ওপর একেকটা আঘাত। কারণ প্রত্যেকটা পর্বেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, পরিবহন এবং বাসাভাড়ার ব্যয় বেড়েছে। দিন মাস বছর গেছে, এসবের ঊর্ধ্বগতি আর থামেনি, অব্যাহতই থাকছে। সরকার যে মুদ্রাস্ফীতির হার দেখাচ্ছে তা দিয়ে পরিস্থিতি বোঝা যাবে না। বিশেষত গরিব মানুষের যেসব দরকার বিশেষত খাদ্য-দ্রব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক বেশি বেড়েছে। সরকারের হিসাবেই এখন খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি হার গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এখন কোনো জিনিসের, তা সে চাল, ডাল, ডিম, আলু, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, স্যালাইন, ওষুধ, পরিবহন কিংবা বাসাভাড়া যাই হোক না কেন, তার দাম যদি বাড়তে থাকে তাহলে প্রচলিত অর্থশাস্ত্রীয় নিয়ম অনুযায়ী কারণ খোঁজার জন্য চাহিদা-জোগানের দিকেই তাকানো হয়। কেননা অর্থশাস্ত্রের সাধারণ ব্যাখ্যা অনুযায়ী উৎপাদন ব্যয় ছাড়াও জিনিসপত্রের দাম বাজারের চাহিদা জোগানের ভারসাম্যের ওপর নির্ভর করে।
জোগান স্থির থেকে চাহিদা বাড়লে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, চাহিদা কমলে দাম কমে। অথবা জোগান যতটা আছে চাহিদা যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে দাম আগের তুলনায় রেড়ে যায়। আবার অন্যদিক থেকে চাহিদা স্থির থাকলে– মানে চাহিদার ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন হলো না কিন্তু জোগান বেড়ে গেল তাহলে দাম কমে যাবে। অথবা জোগান যতটা আছে তার চাহিদা সে রকম নেই তাহলেও দাম কমে যাবে। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী দাম বাড়ার পেছনে তাহলে দু’দিক থেকে দুটি কারণ কাজ করতে পারে– এক, জোগান কমে যাচ্ছে অথবা দুই, জোগান স্থির থাকলেও তার তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। জোগান কমে যেতে পারে কোনো কারণে যদি উৎপাদন কমে যায়, কিংবা যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো কারণে উৎপাদন বিনষ্ট হয়, কিংবা যদি উৎপাদন পরবর্তী বিপণন কোনো না কোনো কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। চাহিদা বেড়ে যেতে পারে নানাভাবে: কোনো নির্দিষ্ট উপলক্ষ ধরে কোনো নির্দিষ্ট একটি বা একগুচ্ছ দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে যেতে পারে, ব্যাপক বিজ্ঞাপনের প্রভাবে কিংবা জীবনযাত্রার পরিবর্তনেও অনেক পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে। তাছাড়া সাধারণভাবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে গেলে নিকৃষ্ট পণ্য ছাড়া বাকি সব পণ্যেরই চাহিদা বেড়ে যায়।
ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণভাবে অর্থনীতিতে গড় চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির আরেক নাম প্রকৃত আয়ের বৃদ্ধি। টাকা-পয়সার আয় বাড়লেই ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। যদি দামস্তর বেড়ে যায়, মুদ্রাস্ফীতি হয়, টাকার মূল্য বা ক্রয়ক্ষমতা কমে যায় তাহলে টাকার অঙ্কে আয় বাড়লেও প্রকৃত আয় কমে যেতে পারে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা থেকে আয় এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় কৃষক, শ্রমিক (শিল্প ও অশিল্প) ও পেশাজীবীসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ক্ষেত্রে আমরা বরঞ্চ প্রকৃত আয়ের নিম্নগতি দেখি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আয়ের এই গতি বিবেচনা করলে কোনোমতেই বলা যায় না যে, গড় চাহিদা বেড়েছে।
জিনিসপত্রের ক্ষণে ক্ষণে, ধীরে কিংবা লাফিয়ে দামবৃদ্ধি তাই এটা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। জোগান কম হলে কোনো পণ্যের দামবৃদ্ধি পেতে পারে। কিংবা কোনো পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি তার দামবৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আমরা চাল, ডাল, চিনি, সবজি, পেঁয়াজ ইত্যাদির জোগান ধারা খেয়াল করলে এটা স্পষ্টতই দেখি যে, জোগান কম হচ্ছে তা নয়। দেশের ভেতর যেসব পণ্য উৎপাদনে নানা কারণে ঘাটতি হচ্ছে সেসব পণ্য জোগানে বৈধ আমদানি বা চোরাচালান (অবৈধ আমদানি) বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
আবার এমন অনেক পণ্যের বাজারদর চড়া থাকছে যেগুলো দেশে উৎপাদিত এবং উৎপাদনের স্তরে সেই পণ্যের দাম ভোক্তা পর্যায়ে দামের তুলনায় অনেক কম। যখন ঢাকার বাজারে মাছ ফল সবজি চাল ইত্যাদির দাম বাড়ছে তখন চাঁদপুর বা দিনাজপুরসহ দূরবর্তী অঞ্চলের উৎপাদকের প্রাপ্তি দাম বাড়ছে না। মানে কৃষক যখন বিক্রি করছে ৫ টাকায়, তখন আমাদের কিনতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়! তাহলে বর্ধিত দাম যাচ্ছে কোথায়? এই অনুসন্ধানেই আমরা পাই তথাকথিত মুক্তবাজারের আড়ালে কতিপয় গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ ও একচেটিয়া কর্তৃত্বের সন্ধান।
কতিপয় আমদানিকারক, কতিপয় পাইকার, পণ্য বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় খাজনা বা চাঁদাবাজ গোষ্ঠী কৃত্রিম দামবৃদ্ধির মাধ্যমে মুনাফার আয়তন বৃদ্ধি করে। উৎপাদনের পর্যায় থেকে ভোক্তার পর্যায় পর্যন্ত পণ্যের যে যাত্রা সেখানেই অযৌক্তিক দামবৃদ্ধির বড় কারণ ঘটে। উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিন্তু প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সরকারি দলের নানা বাহিনী, পুলিশ প্রভৃতির সংখ্যা ও চাঁদাবাজি সক্রিয়তা আগের থেকে অনেক বেশি। ঘাটে ঘাটে তাদের চাহিদা পূরণের পুরো চাপ নিরীহ অসংগঠিত ক্রেতাদের ওপরই পড়ে। এর সঙ্গে যোগ হয় প্রভাবশালী আমদানিকারক ও পাইকারি জোগানদারদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের সফল কারসাজি।
এদিকে মুদ্রাস্ফীতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুদ্রার বিনিময় মূল্য আপেক্ষিকভাবে কমেছে। আগে যেখানে প্রতি ডলারের দাম ছিল গড়ে ৮৫ টাকা সেটা এখন গড়ে ১১০ টাকা। মানে প্রতি ডলারে পতন হয়েছে ২৫ টাকা। এতে আমদানি পণ্যের টাকায় দাম বেড়েছে। তবে যারা দেশে থেকে ডলারে আয় করেন তাদের জন্য এতে বাড়তি আয় সৃষ্টি হয়েছে। যেমন রপ্তানিকারক গার্মেন্টস মালিকরা যদি ১ হাজার কোটি ডলার আয় করেন তাহলে টাকায় তাদের বাড়তি আয় হচ্ছে ২৫ হাজার কোটি টাকা, ৩ হাজার কোটি ডলার মূল্যের রপ্তানিতে তারা বছরে তাই ৭৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করছেন।
অন্যদিকে টাকায় শ্রমিকের মজুরি তো আগেরটাই আছে, শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি, বরং দেখা যাচ্ছে যে, যে শ্রমিক মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে তার প্রকৃত আয় কমে গিয়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা হয়েছে। অর্থাৎ একই সময়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আয়টা কমে গেছে আর মালিকদের আয় বেড়ে গেছে। বর্তমান সময়ে এই এক খাতেই ৩০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের আয় কমে গেল, আর দুই হাজার গার্মেন্টস মালিকের আয় বেড়ে গেল। মুষ্টিমেয় একটি গোষ্ঠী ব্যাংক থেকে ঋণ মেরে দেওয়ার মাধ্যমে, টাকা পাচার করে, নদী-বন-খাল-জমি, সরকারি জায়গা দখল করার মাধ্যমে সম্পদ পুঞ্জীভূত করছে। সর্বশেষ বৈশ্বিক রিপোর্টে বাংলাদেশে ২২ পরিবারের আয়ের উল্লম্ফনের কথা বলা হয়েছে। দুবাই, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ধনী এলাকা বাংলাদেশি এই ধনিক গোষ্ঠীর বড় আরাম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আর এরাই এই সময়ের উন্নয়ন ধারার বড় সুবিধাভোগী। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি বা মুদ্রাস্ফীতিতে তাদের কোনো অসুবিধা হয় না, বরঞ্চ তারা সেসব থেকে সুবিধা পেয়ে থাকে। এরাই দেশ চালায়, তারাই নীতিনির্ধারকদের প্রধান ভিত্তি।
জীবনযাত্রার অযৌক্তিক ব্যয়বৃদ্ধির পেছনে আরও কারণ ও করণীয় আছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ বা এডিবির মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে, খুবই ভুলভাবে, ‘দাতা সংস্থা’ হিসেবে পরিচিত। এই পরিচয় নিয়ে, ঋণের নির্ভরশীলতা ও চিন্তার আধিপত্য তৈরি করে, নানা উন্নয়ন কর্মসূচি বা সংস্কারের নামে এসব প্রতিষ্ঠান বস্তুত বহুজাতিক সংস্থাসহ দেশি-বিদেশি করপোরেট গোষ্ঠীর স্থান ও অধিক মুনাফার পথ তৈরি করতে নিয়োজিত থাকে।
তাই তাদের কর্মসূচিতে সবসময় থাকে বিরাষ্ট্রীয়করণ, আমদানি বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় খাতে ভর্তুকি হ্রাস, শিক্ষা চিকিৎসার অবিরাম বাণিজ্যিকীকরণ, গ্যাস তেল বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদ বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া, সর্বজনের ওপর করের বোঝা বৃদ্ধি, পানির দাম বৃদ্ধি, সড়কে টোলবৃদ্ধি ইত্যাদি। সরকার তাদের সাজানো পথ ধরেই হাঁটে কেননা সেখানেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর লাভ। তার ফলে দাম বাড়ে অনেক সার্ভিস ও দ্রব্যের। এসব কর্মসূচি সবসময়ই দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, নাগরিকদের ব্যয় বৃদ্ধি এবং সবমিলিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। দেশীয় চাঁদাবাজদের তুলনায় জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধিতে কিংবা জনগণের পকেট কাটায় এদের ভূমিকাও কোনো অংশে কম নয়।
লেখক: অর্থনীতিবিদ, ত্রৈমাসিক জার্নাল সর্বজনকথার সম্পাদক