ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

বার্সার ভাঙা তরী ছেঁড়া পাল

বার্সার ভাঙা তরী ছেঁড়া পাল

রবার্ট লেভানডভস্কি

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ২২:২৭

এখনও কি সেই বার্সার দেখা মিলেছে? উত্তর- না। হয়তো জাভি হার্নান্দেজ তাঁর ছাত্রদের নিয়ে এখনও আশায় আছেন। হয়তো এত লোন থাকার পরও বার্সা প্রেসিডেন্ট লাপোর্তে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢালতে দ্বিধাবোধ করছেন না। ট্রান্সফার উইন্ডোতে ধারে, নগদে মিলিয়ে দলে রিক্রুট করেছেন একাধিক ফুটবলার। তবুও সাফল্যের দেখা নেই। আগের মতোই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা। কেন এমনটা?

আসলে কি বার্সাকে পাস করিয়ে নেওয়ার মতো খেলোয়াড় আছেন। বলতে পারেন, রবার্ট লেভানডভস্কি কম কিসে। হ্যাঁ, এই বয়সেও লেভা লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তাঁর একার পক্ষে তো আর এই বার্সাকে কিনারায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। যার প্রমাণ এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ইন্টারের বিপক্ষে ডুবতে বসা বার্সাকে টেনে তুলেছিলেন লেভানডভস্কি। তাতে কিন্তু পুরো তিন পয়েন্ট তোলা যায়নি। আর ওই এক ড্রয়েই শেষ হয়ে যায় বার্সার নকআউটে ওঠার আশা।

সর্বশেষ বুধবার রাতে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যায় বার্সা। শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবেই বিদায় নিতে হলো। আসলে ভাঙা তরী আর ছেঁড়া পাল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো মহাসাগর ফাঁড়ি দেওয়া যায় না। সেটা হয়তো ঘরোয়া লিগে সম্ভব। বার্সার বেলায় পুরোপুরি তেমনটাই হচ্ছে। যে বার্সা লা লিগায় নিয়মিত জিতছে। রিয়াল মাদ্রিদকে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দিচ্ছে না। আজ একে তো কাল দুইয়ে। এক আর দুইয়ের মাঝেই আসা-যাওয়া। সেই বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গেলেই ঝিমিয়ে পড়ে। আসলে ইউরোপসেরার মঞ্চে টক্কর দিতে হলে সেই মানের তারকা তো চাই।

বার্সার নাম-যশ সবই আছে। শুধু যুদ্ধ করার মতো ওই মানের সেনা নেই। মাঝমাঠ বেশ দুর্বল। রক্ষণের জালটা এখনও ছেঁড়াই আছে। আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা মাঝেমধ্যে জ্বলে উঠলেও প্রায়ই থাকে ভুলের ঘোরে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হিসাব-নিকাশ ঘাঁটলে বিষয়টি আরও পরিস্কার হয়ে যাবে। শুরুতে যদি আক্রমণের কথা বলি। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সা খেলেছে পাঁচটি ম্যাচ। যেখানে জয় কেবল একটি, হার তিনটি আর ড্র একটি। হার আর ড্রয়ের ম্যাচেও যে বার্সা ভালো ফুটবল খেলেনি তেমনটা নয়। কিন্তু কিছু ভুলেই মাসুল গুনতে হয়েছিল তাদের। সব মিলিয়ে এই পাঁচ ম্যাচে বার্সা প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে ৮ বার। বিপরীতে গোল হজম করেছে ১০টি।

পার্সিংয়ে মার্কসটা মন্দ না। শতকরা ৮৮ শতাংশের বেশি। কিন্তু যে হারে আক্রমণ করেছে সেই হারে সাফল্য নেই। সব মিলিয়ে এবার ৩৬০টি আক্রমণ করে বার্সা। যার মধ্যে গোলের সুযোগ তৈরি করেছে ৮১ বার। কিন্তু ৮১ বারের মধ্যে শুধু ২৭টি শট টার্গেট মতো ছিল। বাকি ২৯টি লক্ষ্যভ্রষ্ট আর ২৫টি আটকা পড়ে প্রতিপক্ষ দেয়ালে। গোলপোস্টের নিচে থাকা স্টেগানও আগের মতো নেই। এবার একটা ম্যাচও ক্লিনশিট রাখতে পারেননি তিনি। এখানেই শেষ নয়, রক্ষণভাগে মোট ৬২ ট্যাকলের মধ্যে ২৩টি জিতে বার্সার ডিফেন্ডাররা। বাকি ৩৯টি হয় হাতছাড়া।

আরও পড়ুন

×