মাশরাফি ‘বিরতি’ নিতেই জয়ের দেখা পেল সিলেট

ছবি- ইউসুফ আলী (সিলেট থেকে)
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৮:০০ | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৮:১২
কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না সিলেট স্ট্রাইকার্সের। চলমান বিপিএলে সবচেয়ে হতাশজনক পারফরম্যান্স ছিল সিলেটের এই ফ্রাঞ্চাইজির। প্রথম পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই হারে বর্তমান রানার আপরা। ঘরের মাঠ সিলেটেও হারে টান তিন ম্যাচে। পঞ্চম ম্যাচে হারের পর বিপিএল থেকে সাময়িক বিরতি নেন মাশরাফি। আগের ম্যাচে বাদ পড় সহ-অধিনায়ক মিঠুন পান অধিনায়কের দায়িত্ব। নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড পেতেই বদলে গেছে সিলেটের ভাগ্য। তার অধিনায়কত্বে ষষ্ঠ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট। দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তারা।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪২ রান তুলে সিলেট। দলটির এমন পুঁজি গড়তে ‘অধিনায়কোচিত’ ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। দলের পক্ষে ৪৬ বলে ৫৯ রান করেন সিলেটের অধিনায়ক। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি মিঠুনের দলের। টসে হেরে সিলেটের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও শামসুর রহমান। তবে নিজেদের জুটিকে বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি তারা। ইনিংসের পঞ্চম বলেই শরিফুল ইসলাম বোল্ড করেন শামসুর রহমানকে (১)। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকেও ফেরান পেসার শরিফুল। ১২ বলে তিন রান করে বোল্ড হন শান্ত।
এরপর তিনে নামা সামিত প্যাটেল মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে হাল ধরেন। এই জুটিতে ভর করেই লড়াকু সংগ্রহ পায় সিলেট। ৩২ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন সামিত, তাকে ফিরিয়েছেন আরাফাত সানি। সামিত প্যাটেলের বিদায়ের পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান রায়ার্ন বার্লও। ৪ বলে মাত্র ১ রান করে উসমান কাদিরের শিকার হন তিনি। তার বিদায়ে ৭৩ রানেই ৫ উইকেট হারায় সিলেট।
এরপর জুটি গড়েন বেনি হাওয়েল ও মোহাম্মদ মিঠুন। এর মাঝেই ব্যাক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন সিলেটের নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ঢাকার বিপক্ষে আজ তিনি ৩৬ বলে তুলে নেন ৫০ রান। দলীয় ১০৪ রানে আরাফাত সানির বলে সাজঘরে ফেরেন ১১ রান করা বেনি হাওয়েল। এরপর আরিফুলকে নিয়ে জুটি গড়েন মিঠুন। তবে এই জুটিকেও বেশিদূর এগোতে দেননি শরিফুল। শরিফুলের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্যক্তিগত ২১ রানে সাজঘরে ফিরে যান আরিফুল হক।
এক প্রান্ত আগলে রেখে শেষ ওভার পর্যন্ত ছিলেন মিঠুন। শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে সায়েম আইয়ুবের ক্যাচে বিদায় নেওয়ার আগে ৪৬ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৯ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। আর আরাফাত সানির শিকার ২ উইকেট।
১৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। সিলেটের পেসার রিচার্ড নাগাভারার বোলিং তোপে ধুঁকতে থাকে ঢাকার ব্যাটাররা। দলীয় ৫২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে রাজধানীর দলটি। এরপর সিলেটের বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেনি ঢাকার কোনো ব্যাটার। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস হারের ব্যবধান কমায়। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। সিলেটের পক্ষে নাগাভারা নেন ৪টি উইকেট।
- বিষয় :
- দুর্দান্ত ঢাকা
- বিপিএল
- সিলেট স্ট্রাইকার্স