ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

মৃত্যু থামাতে পারেনি লিভারপুলকে, আর করোনা!

মৃত্যু থামাতে পারেনি লিভারপুলকে, আর করোনা!

ছবি: টুইটার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২০ | ০২:১৬

এমন করে শিরোপা জয় মানায় না লিভারপুলের! নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীর হারে শিরোপার স্বাদ। তারা চেয়ে মাঠ থেকেই শিরোপার স্বাদ কি মধুর নয়। কিংবা অ্যানফিল্ডে ভরা গ্যালারিতে। তেমন কিছুই হতো। যদি না, করোনা থাবা বসাত। কিন্তু গল্পটা অন্য ক্লাবের হলে ভিন্ন কথা ছিল। লিভারপুল ভক্তদের করোনা কি থামাতে পারতো! না পেরেছে! 

১৯৯০ সালের পরে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে উঠেছে লিভারপুলের। এমন নয় যে, এই সময়ে অন্য কোন শিরোপা জেতেনি অলরেসডরা। এই ৩০ বছরে ১৭টি মেজর শিরোপা ঘরে উঠেছে তাদের। বড় চারটি প্রতিযোগিতার রানার্স আপ হয়েছে। ছয়বার দুইয়ে থেকে লিগ শেষ করেছে। তারপরও লিভারপুল ভক্তদের কাছে লিগ শিরোপাটা অনন্য। আগের মৌসুমে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সিটির সঙ্গে শিরোপা লড়াই করার জন্য সেটা আরও বেশি।

অ্যানফিল্ডের পথে অলরেডস ভক্তরা। ছবি: টুইটার

করোনার ঝুঁকি তাই আটকে রাখতে পারেনি লিভারপুল ভক্তদের। করতে পারেনি ঘরবন্দি। লাল জার্সি, লাল রং নিয়ে নেমে রাস্তায় নেমে পড়েছেন তারা। রাতের সোডিয়াম আলোও কি লাল নয়! যে টুকু ভিন্ন রং তাও লাল জার্সির ভক্তদের ছোড়া লাল রংয়ে বদলে গেছে। পুলিশের সরব উপস্থিতি, করোনা নিয়ে সতর্কতা কিংবা ভয় দেখানো রুখতে পারছে না তাদের।

রুখতে পারারই কি কথা? এই লিভারপুল ভক্তদের পাগলামির সঙ্গে মিশে গেছে রক্তাক্ত অধ্যায়। লেখা আছে মৃত্যু। ১৯৮৫ সালে বেলজিয়ামের হেইসেল স্টেডিয়ামে প্রাণ যায় ৩৯ সমর্থকের। জুভেন্টাসের বিপক্ষে লিভারপুলের ইউরোপা কাপের সেই ফাইনালে আহত হয়েছিল অন্তত ছয়শ'। খেলা শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে বসে দুই দলের সমর্থকরা। মারামারি বাধিয়ে দেন অলরেডস ভক্তরা। ফলত সকল ইংলিশ দলকে উয়েফা পাঁচ বছর ইউরোপের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করে।

করোনার চোখ রাঙানি থামাতে পারেনি লিভারপুল ভক্তদের। ছবি: টুইটার

কিন্তু অলরেডস ভক্তদের থামানো যায়নি। উয়েফার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার আগেই আরও এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে যায় লিভারপুলের নাম। এবার এফএ কাপের সেমিফাইনালে টনিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে। ১৯৮৯ সালের ওই ম্যাচে অতিরিক্তি দর্শকের চাপে মারা যান ৯৬ জন। যা হিলসবোরো বিপর্যয় নামে পরিচিতি। আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডির নাম।

উন্মাদনা লিভারপুল ভক্তদের রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। ছাড়িয়ে গেছে অন্যদের। তাদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন জার্মান কোচ জার্গেন ক্লপ। গেল বছর জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। এবার ৩০ বছর পরে রেকর্ড সাত ম্যাচ বাকি রেখে প্রিমিয়ার লিগ। রেডসদের সামনে অপেক্ষা করছে আরও রেকর্ড। ভক্তদের তাই উদযাপনের সময়। করোনা ঝুঁকি মাথাই নিয়েই সেটা করছেন তারা।  গার্ডিয়ানের বলছে, পুলিশ করোনা সতর্কতা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু লিভারপুল ভক্তরা কি তা শুনবেন! না কখনো শুনেছেন! 

আরও পড়ুন

×