ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী ইলন!

চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী ইলন!

শাহেরীন আরাফাত

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ | ০৫:১৬

বর্তমান সময়টা প্রযুক্তিগত দিক থেকে শুধু তথ্যপ্রযুক্তিকে নির্দেশ করে না; সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশ্বের প্রায় সব টেক জায়ান্ট কোম্পানিই এআই বিকাশে বিশাল বিনিয়োগ করেছে। গত নভেম্বরে ওপেনএআইর চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর জেনারেটিভ এআই নিয়ে সবারই উৎসাহ ও আগ্রহ বহুলাংশে বেড়েছে। প্রযুক্তি দুনিয়ায় বরাবরই আগ্রাসী চিন্তার উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক যে এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবেন না, তা বলাই বাহুল্য।

ইলন জানালেন, তাঁর নতুন উদ্যোগের নাম এক্সএআই। প্রোডাক্টের নাম ট্রুথজিপিটি। মূলত ওপেনএআই উদ্ভাবিত চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হবে এটি। এক্সএআই জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ‘মহাবিশ্বের প্রকৃত রূপ বোঝা’র চেষ্টা করা। এক্সএআইর কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন গুগলের সাবেক প্রকৌশলী ইগর বাবুশকিন ও টনি, গবেষণা বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান সেগেদি ও মাইক্রোসফটের সাবেক কর্মকর্তা গ্রেগ ইয়াং।

মাইক্রোসফট, ওপেনএআই, গুগল, টেসলা, ডিপমাইন্ড এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ ক’জন প্রাক্তন কর্মকর্তা ও গবেষক এক্সএআইয়ে যুক্ত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকায় অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও গবেষকদের নিয়োগ দিচ্ছে। নতুন প্রতিষ্ঠানটি টুইটার, টেসলা ও মাস্কের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। কোম্পানিটির পরামর্শক হিসেবে রয়েছেন সেন্টার ফর এআই সেফটির পরিচালক ড্যান হেন্ড্রিকস। বছরের শুরুর দিকে হেন্ড্রিকস খোলা চিঠির মাধ্যমে সতর্ক করেছিলেন, এআই উদ্ভাবনের ফলে মানব অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। যে রকম উদ্বেগ মাস্কও জানিয়েছিলেন। অবশ্য আগে তিনি বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়নের রাশ টেনে ধরা দরকার। সংশ্লিষ্ট খাতের নীতিমালা প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়োগ দেওয়া জরুরি। গত এপ্রিল মাসে মাস্ক ট্রুথজিপিটি নামে ‘চ্যাটবট’ চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

মাস্ক সাক্ষাৎকারে ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে বলেছিলেন, নতুন চ্যাটবট হবে সর্বোচ্চ সত্যসন্ধানী এআই, যা মহাবিশ্বের প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করবে।

টুইটার স্পেসেস অনুষ্ঠানে মাস্ক আরও নিরাপদ এআই উন্নয়নে তাঁর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এআইকে নৈতিকতার শিক্ষা না দিয়ে বরং তিনি এক্সএআই সিস্টেমের মধ্যে ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের কৌতূহল’ তৈরি করবেন। যদি মহাবিশ্বের প্রকৃত রূপ বোঝার চেষ্টা করে, তাহলেই সেটা এআইর নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে সেরা উদ্যোগ হবে। তাঁর ধারণা, মানবতার পক্ষেই থাকবে এটি। কারণ সে বুঝতে পারবে, মানবতা না থাকার চেয়ে মানবতা থাকার বিষয়টি বেশি কৌতূহলোদ্দীপক।

আরও পড়ুন

×