ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

স্মার্ট বাংলাদেশ

বাজেট নিয়ে আইসিটি নেতারা যা বললেন

বাজেট নিয়ে আইসিটি নেতারা যা বললেন

বাজেট নিয়ে কথা বলছেন আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি নেতারা

আইসিটি ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪ | ২৩:১৭ | আপডেট: ১০ জুন ২০২৪ | ১৩:০২

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডরস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি (বেসিস) রাসেল টি আহমেদ, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক ও ই-ক্যাবের সহসভাপতি সৈয়দা আম্বারীন রেজা উপস্থিত থেকে নিজেদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে বাজেট প্রতিক্রিয়া উপস্থাপন করেন।

রাসেল টি আহমেদ বলেন, কর অব্যাহতি শুধু তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখবে তা নয়; বরং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, রপ্তানিমুখী উৎপাদন শিল্প ছাড়াও নিউক্লিয়াসের ভূমিকা পালন করবে, যা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে জড়িত। জ্ঞানভিত্তিক ক্যাশলেস অর্থনীতি বেশ কিছু খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের নতুন জোয়ার সৃষ্টি করবে।

বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতি নিঃসন্দেহে প্রত্যক্ষভাবে অবদান রাখবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নতুন উদ্ভাবন ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছাড়াও বেশ কিছু রপ্তানিমুখী শিল্পে সহায়ক হবে। ফলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, তেমনি অর্জিত হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

আইএসপিএবির সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে নতুন অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সব সেবাকে আইটিইএস প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি না করা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর শতকরা ১০ ভাগ (এআইটি) ও ওএনইউ, ওএলটিও ওপর বর্তমানে শতকরা ৩৭ ভাগ আরোপিত ভ্যাট, শুল্ক ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবহৃত সব পণ্যের ওপর শুল্ক না কমায় ইন্টারনেট সেবার প্রসার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হবে।

ই-ক্যাব সহসভাপতি সৈয়দা আম্বারীন রেজা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আইটি ও আইটিইস খাতের বিদ্যমান সব সুবিধা বহাল রেখে তার সঙ্গে সহায়ক খাতও বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া উচিত। সাপোর্ট ইন্ডাস্ট্রির কারণে মূল ইন্ডাস্ট্রির প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সহায়ক খাত ওয়েবসাইট হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভিস। খাতটি এখনও বৈদেশিক সেবানির্ভর। ই-কমার্স ও স্মার্ট লজিস্টিক সেবা বিস্তৃত করতে লজিস্টিক খাতের বর্তমান ভ্যাট প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।

ই-ক্যাবের যেসব প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পণ্যসেবা ডেলিভারি করে, তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রত্যাহার ও যেসব প্রতিষ্ঠান তৃতীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন সেবা দেয়, তাদের জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ ভ্যাট হতে পারে।

আরও পড়ুন

×