ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

গুগল ফটোজের বিকল্প ৫

গুগল ফটোজের বিকল্প ৫

রাকিব হাসান রাফি

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২০ | ২২:০২

অনেকে ক্লাউড স্টোরেজ হিসেবে ছবি কিংবা কোনো ভিডিও সংরক্ষণে গুগল ফটোজ ব্যবহার করেন। বিশেষ করে স্মার্টফোনে যাদের স্টোরেজ কম থাকে, তাদের অনেকে নিজেদের ছবি কিংবা ভিডিও গুগল ফটোজে রেখে দেন। সেবাটি এতদিন বিনামূল্যে থাকলেও গুগল জানিয়েছে, আগামী জুন মাস থেকে তাদের এ পরিষেবাটি আর ফ্রি থাকছে না।

গুগল জানিয়েছে, ২০২১ সালের ১ জুন থেকে হাই ডেফিনিশনসম্পন্ন সব ছবি, ভিডিও এমনকি অন্যান্য ফাইলের ব্যাকআপ ১৫ জিবি স্টোরেজের মধ্যে ধরা হবে। তবে কেউ যদি এর অধিক স্টোরেজ সুবিধা পেতে চান, তাহলে তাকে বাড়তি অর্থ প্রদান করে গুগল থেকে আলাদাভাবে স্টোরেজ কিনতে হয়। গুগল ড্রাইভ ও জিমেইলের তথ্য এভাবে হিসাব করা হয়। এখন থেকে গুগল ফটোজও এ হিসাবের আওতায় পড়বে। তবে আগামী বছরের ১ জুনের আগে যদি কোনো ছবি ক্লাউড সার্ভারে ব্যাকআপ হিসেবে জমা করা হবে, তা গুগলের অ্যাকাউন্ট স্টোরেজের আওতায় পড়বে না। ধারণা করা হচ্ছে, গুগল ওয়ানের সাবস্ক্রিপশন ব্যবহার করতে তাদের এ পদক্ষেপ। তবে এরই মধ্যে যারা গুগল ফটোজের বিকল্প খুঁজছেন, তাদের জন্য রয়েছে একই ঘরানার আরও কিছু সেবা।

ফ্লিকার্স

গুগল ড্রাইভে অতিরিক্ত ১ টেরাবাইট স্টোরেজ সুবিধা পেতে ব্যবহারকারীকে মাসে ১০ ডলার প্রদান করতে হয়। অথচ এর থেকে কম খরচে অর্থাৎ, মাসে সাত ডলারের বিনিময়ে ফ্লিকার্সের আনলিমিটেড পেইড পল্গ্যান ব্যবহার করা যায়। আর এক বছরের জন্য ফ্লিকার্সের আনলিমিটেড পেইড পল্গ্যান পরিষেবা পেতে একজন ব্যবহারকারীকে ৬০ ডলার দিতে হয়। গুগল ফটোজের বর্তমান সংস্করণে ১৬ মেগাপিক্সেলের অতিরিক্ত রেজুলেশনের ছবি সংরক্ষণ করা যায় না কিন্তু ফ্লিকারের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো সীমাবদ্ধ নেই। ব্যবহারকারী তার ইচ্ছা অনুযায়ী অনলাইনে তাদের স্টোরেজে ছবি কিংবা ভিডিও সংরক্ষণ করতে পারবে।

অ্যামাজন ফটোজ

আপনার যদি অ্যামাজন প্রাইমের মেম্বারশিপ থাকে তাহলে ছবি কিংবা ভিডিও সংরক্ষণ করার জন্য আপনি অ্যামাজন ফটোজ ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত প্রাইমের মেম্বারশিপের জন্য প্রতি বছর গ্রাহককে ১১৯ ডলার দিতে হয়। অ্যামাজন ফটোজের পরিষেবা ফ্লিকার্স আনলিমিটেড পেইড প্ল্যানের মতোই। তবে অ্যামাজন ফটোজে আনলিমিটেড ছবি স্টোর করা সম্ভব হলেও পাঁচ গিগাবাইটের বেশি ভিডিও সেখানে সংরক্ষণ করা যায় না। প্রাইমের মেম্বারশিপ থাকলে গ্রাহক ফ্রি শিপমেন্ট কিংবা অ্যামাজন থেকে পণ্য ক্রয়ে ডিসকাউন্টের মতো বেশ কিছু সুবিধা পেতে পারেন।

আইক্লাউড

অ্যাপেল ব্যবহারকারীদের কাছে গুগল ড্রাইভের চেয়ে আইক্লাউড বেশি জনপ্রিয়। আইক্লাউডে প্রাথমিকভাবে প্রথম পাঁচ জিবি স্টোরেজের জন্য গ্রাহককে কোনো অর্থ দিতে হয় না। তবে এর চেয়ে বেশি স্টোরেজ সুবিধা চাইলে গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়। আইক্লাউডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, গ্রাহক যখন তার ডিভাইসে কোনো ছবি কিংবা ভিডিও ধারণ করেন, সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্লাউড স্টোরেজে জমা হয়। এমনকি কোনো ফটো কিংবা ভিডিও ডিলিট করা হলেও একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেটি স্টোরেজে জমা থাকে যা পুনরায় ব্যবহার করা যায়। তবে ফ্লিকার কিংবা মাইক্রোসফট অথবা গুগলের স্টোরেজ পরিষেবায় যেমনিভাবে সার্চ অপশন থাকে কিংবা ফটো এডিটিং টুলস ফিচার থাকে আইক্লাউডের ক্ষেত্রে সে সুবিধা নেই।

ওয়ান ড্রাইভ

গুগল ড্রাইভের বিকল্প ক্লাউড স্টোরেজ পরিষেবা হিসেবে ওয়ান ড্রাইভ হচ্ছে মাইক্রোসফটের বিশেষ পরিষেবা। ফটো প্রেজেন্টেশনের জন্য ওয়ান ড্রাইভ সবচেয়ে ভালো অপশন। মাইক্রোসফটের এ পরিষেবা ব্যবহার করতে একজন ব্যবহারকারীর বছরে ৭০ থেকে ১০০ ডলারের প্রয়োজন হতে পারে।

তবে যারা কোনো ধরনের ক্লাউড পরিষেবা ব্যবহার করার জন্য আগ্রহী নন, তাদের জন্য রয়েছে নেটওয়ার্ক অ্যাটাচড স্টোরেজ ডিভাইস। বাজারে বিভিন্ন দামের নেটওয়ার্ক অ্যাটাচড স্টোরেজ ডিভাইস পাওয়া যায়, গ্রাহক চাইলে এ ডিভাইসে ছবি কিংবা ভিডিও থেকে শুরু করে যাবতীয় ফাইল ব্যাকআপ হিসেবে জমা রাখতে পারে। ইন্টারনেটের সঙ্গে এ ডিভাইসের সংযোগ ঘটিয়ে গ্রাহক নিজেই তার ব্যবহারের জন্য স্টোরেজ তৈরি করতে পারে। 

আরও পড়ুন

×