আজমেরী হক বাঁধন

শুরু থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। আন্দোলনের সঙ্গে একত্বতা প্রকাশ করে শুরুতে সামাজিক মাধ্যমে, এরপর সশরীরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথেও সরব ছিলেন তিনি।

আল্লাহ তায়ালা আমাকে সেই শক্তি দিয়েছেন আমি যেন একা একা একটি সিনেমাকে টেনে যেতে পারি। সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করছি বলে হলে দর্শক আসবেন– এই আশা করে ঘরে বসে থাকা যাবে না।

সবসময় একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে আগলে রাখেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তবে কোরবানি ঈদে ছবি মুক্তি পাওয়ায় হলে হলে ছুটে বেড়াতে হয়েছে।

মানুষ বছরের একটি দিন বাবার জন্য আলাদা করে রাখতে চায়, যেমনটা রাখা হয় মায়ের জন্য। এই বিশেষ দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের প্রতিটি ধাপে বাবার অবদান কতটা গভীর।

বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে নারী চরিত্রের এরকম অনবদ্য উপস্থাপনের পরিকল্পনায় মুগ্ধ হয়ে আমি সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হই। আমার ধারণা এবার ঈদে অসংখ্য সিনেমার ভিড়ে ‘এশা মার্ডার’ ভিন্নতা পাবে সানী ভাইয়ের গল্প বলার ধরণ এবং উপস্থাপন কৌশলের জন্য।

আওয়ামী লীগ সরকারের অনেকের সঙ্গে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের ভালো সম্পর্ক ছিল। এমনকি দলটির নির্বাচনী প্রচারণাও দেখা গেছে তাকে। ফলে তাদের কার্যক্রম খুব কাছে থেকে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী।

দেখুন, জুলাই আন্দোলনে আমাকে বলা হলো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট। আমি নাকি ইউএসএআইডি থেকে টাকা নিয়ে আন্দোলন করেছি। তারপর হলাম জামায়াতের এজেন্ট। কদিন আগে আবারও ‘র’-এর এজেন্ট বানানো হলো!

ঈদে মুক্তির মিছিলে রয়েছে আজমেরী হক বাঁধনের অভিনীত সিনেমা ‘এশা মার্ডার’। সানি সানোয়ারের পরিচালনায় এতে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয় করতে গিয়ে তাকে অস্ত্র চালানো, ফাইটসহ বেশকিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁধন।

এক প্রভাবশালী ব্যক্তি একবার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তুমি কবে থেকে এত দেশপ্রেমিক হয়ে উঠলে?’ কারণ, আমি তখন প্রায়ই দেশের কথা বলছিলাম। সবসময় দেশের সমস্যা নিয়ে তাকে কথা বলতাম।

গতবছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বেশ সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। নেমেছিলেন রাজপথে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনাও করছেন তিনি। এই অভিনেত্রীর অভিযোগ, তাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলে ট্রল করা হচ্ছে।