কনকচাঁপা

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন কণ্ঠশিল্পী রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।

দেশের নন্দিত সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। এই পর্যায়ে আসাতে বাবা আজিজুল হক মোর্শেদ ও স্বামী সুরকার-সংগীত পরিচালক স্বামী মইনুল ইসলাম খানের অবদান সবচেয়ে বেশি। আজ স্বামী জন্মদিনে তাকে নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন কথা লিখেছেন কনকচাঁপা।

স্বৈরশাসনে দেশের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা কখনও ভাঙবে বলে মনে হয়নি। দেশের শাসনতন্ত্রে সহসাই রদবদল হবে এও ছিল অকল্পনীয়। আমরা যারা মধ্যবয়স্ক, তাদের আলোচনায় বারবার শুধু একটা প্রশ্নই উঠে আসত–

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ পুনর্গঠন করে জারি করা হয়েছে প্রজ্ঞাপন। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আয়েশা সিদ্দিকা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এমনটাই জানানো হয়।

নন্দিত কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। অসংখ্য গান গেয়ে শ্রোতার হৃদয় জয় করেছেন। আজ ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন। গুণী এই সংগীতশিল্পীর এবারের জন্মদিন নিয়ে নেই কোনো উচ্ছ্বাস। একেবারে সাদামাটাভাবেই দিনটি পার করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।

মানুষের হৃদয় আন্দোলিত করার লক্ষ্যে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলছে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা। বিনোদনের পাশাপাশি যা দর্শক-শ্রোতাকে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিকড়কে চেনানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  রক্তক্ষয়ী এক সংগ্রামের ফলে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা সরকার। দেশে গঠিত হয়েছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এ দেশের শিল্পী হিসেবে যারা খ্যাতি পেয়েছেন তাদের মধ্যে কনকচাঁপা অন্যতম। এখনো যেন কান পাতলেই শোনা যায় কনকচাঁপার সেইসব কালজয়ী গান। যার গান এখনো কোটি শ্রোতার মুখে মুখে মুখরিত হয়ে আছে। এখনো দেশে ও বিদেশে থাকা বাঙালি শ্রোতার কাছে স্টেজ শো’র সবচেয়ে প্রিয় মুখ কনকচাঁপা। এখন আর ঢাকায় থাকেন না এই শিল্পী। চলে গেছে নিজ গ্রামে। মাঝে মাঝে প্রয়োজনে আসেন ঢাকায়। গ্রামে থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে তাকে মাঝে-মধ্যেই দেখা যায়।

একুশে বইমেলায় এসেছে নন্দিত সংগীতশিল্পী কনকচাঁপার নতুন বই। শিল্পীর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটির নাম ‘কাটাঘুড়ি ৩’। এটি প্রকাশ হয়েছে অনন্যা প্রকাশনী থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী নিজেই।