জাতীয় সংসদ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক জট খুলেও যেন খুলছে না। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে পরিচালিত দুটো জরিপে জনগণ যেখানে দ্রুত একটা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়েছেন, সেখানে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ছাড়া আর কোনো অংশীজন, বিশেষত সরকারের বক্তব্যে ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে না।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া হচ্ছে, তাতে নতুনত্বের কিছু নেই। শেষ তিন সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত হওয়ার পেছনে যারা ‘বড় অনুঘটক’ হিসেবে কাজ করেছে, সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর মাঠ প্রশাসনের ব্যাপারে এখনও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই কোনো পরিকল্পনা। এসব বিষয়ে তারা বরাবরের মতো সরকারের দিকেই তাকিয়ে আছে।

স্বৈরশাসন রোধে সংবিধান সংস্কার কমিশন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার সুপারিশ করেছে। সঙ্গে উভয়কক্ষের বিরোধ এড়াতে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা শুধু নিম্নকক্ষের (সংসদ) কাছে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। উচ্চকক্ষের নাম হবে সিনেট।

ভারতে বহুল প্রচলিত ও উচ্চারিত ‘আয়া রাম গয়া রাম’ প্রবচনের মূলে রয়েছেন হরিয়ানা রাজ্য বিধানসভার বিধায়ক গয়া লাল। ১৯৬৭ সালে তিনি এক দিনের মধ্যে তিনবার দল বদল করায় ভেঙে যায় বিধানসভা, জারি হয় রাষ্ট্রপতির শাসন। বর্তমানে ‘দলবদল’ আইনপ্রণেতাদের ডাকা হয় এই নামে।

জাতীয় সংসদের মেয়াদ এক বছর কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। পাশাপাশি দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের দাবিও জানিয়েছে দলটি। শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে তাঁর বাসভবন যমুনার সামনে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ কথা বলেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। এ সময় রাষ্ট্র সংস্কারে ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি। 

কেউ ধরেছেন অসুস্থতার ভান! কেউ কারণ ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত। কেউ আবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নিয়ে লাপাত্তা। কোনো কর্মকর্তা ছেড়েছেন সরকারি বাসা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকেই জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ‘বিতর্কিত’ ১২ কর্মকর্তা এমনই নানা কীর্তি করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে সংসদ সচিবালয়।

জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, তাঁর স্বামী, সন্তানসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা। 

জাতীয় সংসদে উচ্চ-কক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।