জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের ঘোষিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন রয়েছে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাছাইয়ের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি কার্যকর উদ্যোগ।’

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর রাজনীতি যেন ফ্যাসিবাদের জন্ম না দেয়। জনপ্রত্যাশা পূরণ রাজনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলে যারা আছেন, তারা যেন সত্যিকার অর্থে মুখে যেভাবে বলেন, সেভাবে স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করেন।

জাতি আর কোনো ‘যেনতেন’ নির্বাচন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সুষ্ঠু বিচার, রাজনৈতিক সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্রের বাস্তবায়ন এবং ভোটের সমতল মাঠ নিশ্চিত হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সক্ষমতার প্রমাণ করতে হবে।

রাখাইনে মানবিক করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে না করেছেন বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রোববার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি দেশের সমাজ ও রাজনীতিতে অনেক কিছুই অনাকাঙ্ক্ষিত-অগ্রহণযোগ্য মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান আমির বলেছেন, ৫ আগস্টের পর শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত ছিল। কিন্তু কোন কোন দল সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে নিজেদের সহকর্মীদের সামাল দিতে। যেখানেই যাই,  শুনতে হয় রেট (চাঁদাবাজির) আগের চেয়ে বেশি। কেন রেট বেশি হবে? রেটই তো থাকবে না। চিহ্নিত অপরাধীদের ধরে পুলিশ থানায় নেওয়ার আগেই তদবির থানায় চলে আসে। এই ধারা বন্ধ করতে হবে। জামায়াতের লোকেরাও যদি এটা করে, মানুষ জামায়াতকে ঘৃণা করবে। এ কাজ যারাই করবে, তাদেরকেই ঘৃণা করবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ধর্ম যার যার বাংলাদেশটা হোক সবার। এদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সব ধর্মের মানুষের বসবাস নিশ্চিত করতে চাই। সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজস্ব আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চায়। এখানে সংখ্যালঘু বলে কোনও জিনিস নেই।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা আর ভারতের আধিপত্যের ছায়া দেখতে চাই না। পারস্পরিক শ্রদ্বা, সম্প্রীতি ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাস করতে চাই। আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে, আমাদের ভালো কেড়ে নিলে তারাও ভালো থাকবে কিনা তা তাদের চিন্তা করতে হবে। আমরা দেখতে চাই, আমরা উভয়ই ভালো থাকবো। সেই পরিবেশকে ভারতকেই নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে।’