জেনারেল (অব:) আজিজ আহমেদ

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির দায় সরকার কখনোই এড়াতে পারবে না

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ আওয়ামী লীগের কেউ নন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের দুর্নীতির বিচার করার সৎ সাহস শেখ হাসিনা সরকারের আছে।

ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, মানবাধিকার হরণসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে গুরুতর অপরাধ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি ‘অনুসন্ধানী টিম’ গঠন করেছে দলটি। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজও শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠল সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের প্রেরণের প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান তুলে ধরেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হচ্ছে, দণ্ডপ্রাপ্ত নিজ ভাইদের রাষ্ট্রীয় অনুকম্পায় ক্ষমা মঞ্জুর করে বিদেশে পাঠানো। এর পুরোটা তিনি নিজ হাতে করেছেন এমন নয়, করেছে সরকার। তবে ব্যাপারটা তিনি জানতেন না বা তাঁর অসম্মতি ছিল, তা মনে হয় না। তারা ভুয়া নামে এনআইডি কার্ড করেছে, ভুয়া পাসপোর্ট করেছে।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে সবার জন্য বার্তা মনে করছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

সেনাপ্রধান হিসেবে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ভাই বা আত্মীয়দের কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন—কেউ প্রমাণ করতে পারলে যে কোনো কনসিকোয়েন্স মেনে নিতে প্রস্তুত রয়েছেন জানিয়েছেন জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় আমি অবাক হয়েছি।’ 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-ঘোষিত ভিসানীতির অধীনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। অন্য আইনের (অ্যাক্ট) অধীনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।