যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ সবার জন্য বার্তা: ড. ইফতেখারুজ্জামান

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪ | ০৫:০৫
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে সবার জন্য বার্তা মনে করছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এ ঘটনা জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে বিব্রত করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র যে অপরাধের কথা বলেছে, সেটি উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া বলার কথা নয়। আর এ অপরাধের সঙ্গে আজিজ আহমেদ একা দায়ী নন; অনেক সহযোগী রয়েছেন। তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি। দুদকের মতো দেশীয় সংস্থাগুলো এ ক্ষেত্রে সক্রিয় হতে পারে।
এদিকে গতকাল এক বিবৃবিতে টিআইবি নাগরিকের ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর তথ্য চুরি এবং অনলাইনে বিক্রির ঘটনাকে আতঙ্কজনক আখ্যা দিয়েছে। সংস্থাটির ভাষ্যে, অব্যাহতভাবে সরকারি সংস্থা থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা সরকারের সক্ষমতা ও শুদ্ধাচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও মোবাইল ফোনের কল ডেটা রেকর্ডসহ (সিডিআর) নাগরিকের ব্যক্তিগত, গোপনীয় ও স্পর্শকাতর তথ্য চুরি এবং অনলাইনে বিক্রির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি সংস্থার কর্মীদের আইডি ব্যবহার করে এসব তথ্য চুরি হয়েছে।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি বলছে, নাগরিকের সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা থেকে তথ্য পাচার, তাও আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আইডি ব্যবহার করে তথ্য চুরি ও অনলাইনে বিক্রির ঘটনা রীতিমতো আতঙ্কজনক। তথ্য ফাঁস এবং এর মাধ্যমে ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সিডিআরের মতো ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য চুরির ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য চুরির অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের। সর্বশেষ এমন একটি প্রতিষ্ঠানে পাচারের ঘটনা ঘটল, যারা এ তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত। নাগরিকের তথ্য ফাঁস ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করতে পারলে এসব উদ্যোগ অর্থবহ হবে না।