দাবানল

কানাডার মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির ম্যানিটোবা প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ দাবানলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হওয়া এই দাবানলে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে না আসায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। 

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে এবং আহত হয়েছে অন্তত ১৯ জন। দেশটির স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে ২০টিরও বেশি দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দাবানলে শনিবার দুইজন দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও দুইজন দমকল কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। খবর রয়টার্সের

টোকিওসহ জাপানের ১৪টি অঞ্চলের দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে সেনাবাহিনীসহ ১৬টি হেলিকপ্টার। জাপানের কর্মকর্তাদের মতে, এখন পর্যন্ত এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অন্তত তিন হাজারের বেশি মানুষ।

দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম সফরে গতকাল শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ায় গেছেন।

জোরালো বাতাস ও শুষ্ক ঝোপঝাড়ের কারণে খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল।

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে নতুন করে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এতে এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চলে অন্তত ২১ বর্গকিলোমিটার এলাকার গাছপালা ও ঝোপঝাড় পুড়ে গেছে।

ধ্বংসযজ্ঞের ১১তম দিনে এসে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ কমতে থাকায় ও দমকলকর্মীদের অব্যাহত চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে এখনও জ্বলতে থাকা দাবানল। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস আবারও কপালে ভাঁজ ফেলছে ক্যালিফোর্নিয়াবাসীর।

যে বিশাল দাবানলে ছাই হয়ে গেছে লস অ্যাঞ্জেলেসের হাজার হাজার বাড়িঘর, তার পেছনে কিছুটা হলেও মানুষের হাত রয়েছে। ভেঙে বলতে গেলে, মানুষের তৈরি পরিবেশ দূষণের কারণেই বহুগুণে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে এই দাবানল