বিডিআর বিদ্রোহ

আদালতের জামিন আদেশের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২৭ বিডিআরের সাবেক (বর্তমানে বিজিবি) জওয়ান। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আরও ৪০ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ২৬৩ জন বিডিআর সদস্যের জামিন শুনানি ফের পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে এ জামিন শুনানি ও মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এ দিন বিচারক অসুস্থ থাকায় শুনানির তারিখ পিছিয়ে ৮ মে নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দায়ে শেখ হাসিনার ৫৭ বার ফাঁসি হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়ক তথ্য দিয়ে কমিশনকে সাহায্য করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কমিশন।

রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যার ১৬ বছর পূর্ণ হলো আজ। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দুঃসহ স্মৃতিবহ এই দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করেছে সরকার।

ঢাকার পিলখানা হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় সাবেক বিডিআর সদস্যদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলায় ৪১ জন বিডিআর সদস্য মু্ক্তি পেয়েছেন। সকাল থেকে কারাগারের বাইরে জওয়ানদের স্বজনরা অপেক্ষায় থাকেন। তাদের হাতে দেখা গেছে ফুলের তোড়া। 

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাড়ে ১৫ বছর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি বিডিআরের ১২৬ জন জওয়ান মুক্তি পেয়েছেন।