বৈদেশিক মুদ্রা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ মাস পর আবার ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আজ রিজার্ভ উঠেছে ২২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের ৫০ কোটি ডলার যোগ হওয়ার পর রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। গত রোববার যা ছিল ২০ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।

করোনার টিকা কেনার জন্য সরকার দুই বছর আগে এডিবি থেকে ঋণ নিয়ে ইউনিসেফকে ৯৪ কোটি ডলার দেয়। এর মধ্যে প্রায় ১৮ কোটি ডলার অর্থাৎ বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী দুই হাজার কোটি টাকার বেশি অব্যবহৃত থেকে যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ও প্রবাসী আয় দেশে আসায় তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বেড়েছে।

নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মেরিটাইম সেক্টর সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার কমে ২০ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আইএমএফসহ বিভিন্ন উৎস থেকে বড় অঙ্কের ঋণ পাওয়ার পর গত সপ্তাহে যা ছিল ২১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে নিট রিজার্ভ ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন থেকে নেমেছে ১৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়নে। 

আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি করতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যাংক প্রতি ডলারের দর ১২০ টাকার বেশি নিচ্ছে। ব্যাংকাররা বলছেন, তারা রেমিট্যান্স কিনেছেন ১১৯ টাকায়। এ কারণে আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের দর ১২০ টাকা নিতে হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে উঠেছে। গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার।

ইরানের কাছে শ্রীলঙ্কার ২৫১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ রয়েছে। বুধবার চা-পাতার মাধ্যমে এই ঋণের ২০ মিলিয়ন ডলার শোধ করেছে শ্রীলঙ্কা

বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়াতে প্রণোদনামূলক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে অনেক দেশ। বাংলাদেশে রপ্তানিতে উৎসাহ দিতে প্রণোদনা বাড়ানো তো দূরে থাক, হঠাৎ করে মাঝ পথে এসে বস্ত্র খাতের পাঁচ ধরনের পণ্যে ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় প্রায় ৫৬ শতাংশ পণ্য রপ্তানি হয়। এছাড়া অন্য সব খাতে ভর্তুকির হার কমানো হয়েছে। এমন এক সময়ে ভর্তুকিতে বড় পরিবর্তন এল যখন তৈরি পোশাক খাতের বেতন বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ, গ্যাসের সঙ্কটের কারণে চাপে আছেন উদ্যোক্তারা।