ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সামরিক সংঘাত ছিল দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। লড়াইটি চলে তাদের বিশাল সীমান্ত বরাবর; দুই দেশে গভীর রাতে আকাশ (বিস্ফোরণে) আলোকিত হয়ে ওঠে। এ সময় গুলির লড়াইয়ের পাশাপাশি উভয় পক্ষ তথ্যযুদ্ধও শুরু করে।

কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিনের বৈরিতা ও সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধবিরতি বজায় রেখেছে ভারত ও পাকিস্তান। গতকাল রোববার দিনভর সীমান্তে পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকলেও এর আগের রাত ছিল

টানা কয়েক দিন ধরে প্রাণঘাতী সংঘাতের পর অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছে ভারত-পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান শনিবার একটি অস্ত্রবিরতিতে উপনীত হয়। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এ উত্তেজনার শুরু হয় ২২ এপ্রিল, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। 

অস্ত্রবিরতির পর পাঞ্জাবের কেন্দ্রীয় শহর অমৃতসরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসলেও শহরটিতে রেড অ্যালার্ট জারি রেখেছে জেলা প্রশাসক। কেননা নয়াদিল্লির অভিযোগ, ভারতের ভূখণ্ডে পাকিস্তান হামলা অব্যাহত রেখেছে।   

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে।

পাকিস্তান এখনো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবছে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার দেখভালের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির কোনো বৈঠক হয়নি বা হবে বলেও নির্ধারিত নেই। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। আজ শনিবারের বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বেশি দিন চললে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি হামলা জোরদার হয়েছে। ফলে দেশ দুটির সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলো ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন অনেকে।

এখন পর্যন্ত ভারতে বাংলাদেশের ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করেছে ইউটিউব। বাংলাদেশের এই চ্যানেলগুলোর ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না ভারত থেকে।