রেমিট্যান্স

২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ২৮২ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরের একই মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ডলার। গত জুনে বেড়েছে প্রায় ২৮ কোটি ডলার বা ১১ শতাংশ।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ আরও বেড়ে ৩১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। এরপর ওই মাসের ১৫ তারিখ সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার হয়। এছাড়া সব সময়ই এখনকার চেয়ে রিজার্ভ কম ছিল বলে জানা গেছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ যোগ হওয়ায় মঙ্গলবার রিজার্ভ উঠেছে ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে।

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চলতি মাসের প্রথম ৩ দিনে দেশে এসেছে ৬০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা।

ঈদের আগের মাস মে-তে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি। আর একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে স্বস্তিতে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৭১ কোটি ডলার বা ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।

প্রথমবারের মতো একক মাসে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। রমজান ও ঈদের মাস গত মার্চে প্রবাসীরা রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একক কোনো মাসে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। গত মার্চে প্রবাসীরা রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল গত ডিসেম্বরে। আর গতবছরের মার্চে এাসেছিল মাত্র ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

বিদেশের সঙ্গে লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতির ধারা অব্যাহত আছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত বজায় রয়েছে। কমেছে সার্বিক লেনদেনে ঘাটতি। অবশ্য ডলার বাজার পরিস্থিতির উন্নতির কারণে আমদানি বাড়ার কারণে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে।