অসুস্থ মাকে আর দেখা হলো না

মাকে দেখতে যাওয়ার সময় ফেরিতে দাঁড়িয়ে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে এই ছবিটি তুলেছিলেন ডা. বাসুদেব
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২২ | ০৫:২৪ | আপডেট: ১৪ মে ২০২২ | ০৫:৩০
অসুস্থ মাকে দেখতে স্ত্রী-সন্তানসহ বাড়ি যাচ্ছিলেন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বাসুদেব সাহা। কিন্তু বাড়ি থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের পথ দূরত্বে থাকতে বাসের সঙ্গে তাদের প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা ডা. বাসুদেব, তার স্ত্রী শিবানী ও ছেলে স্বপ্নীল ঘটনাস্থলেই গেছেন। তবে পরিবারের সঙ্গে গোপালগঞ্জ না যাওয়ায় বাসুদেবের একমাত্র কন্যা বেঁচে গেছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ডা. বাসুদেব ও তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছেন।
জানা গেছে, অসুস্থ মাকে দেখতে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রাইভেট কারে করে বাড়ি যাচ্ছিলেন ডা. বাসুদেব সাহা। কিন্তু বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার আগে বাসের সঙ্গে তাদের প্রাইভেট কারের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেট কারে থাকা ডা. বাসুদেব, তার স্ত্রী ও ছেলে মারা যান।
বাসুদেব ও তার স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, অসুস্থ মাকে দেখতে বাড়ি যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দুর্ঘটনায় পড়ে তাদের প্রাইভেটকারটি। এতে বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে বাড়ি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার ৪ ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফেরিতে দাঁড়ানো একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ডা. বাসুদেব। কিন্তু দুর্ঘটনায় আর ‘প্রাণ’ নিয়ে বাড়ি যাওয়া হলো না তার।
ডা. বাসুদেব সাহা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৩১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বারডেম হাসপাতালের এনেসথেসিয়া বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও প্রাইভেটকারের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন।