ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

সিলেট পিবিআই'র তদন্ত

দেনা থেকে বাঁচতে আত্মগোপন করেন জুলমত

দেনা থেকে বাঁচতে আত্মগোপন করেন জুলমত

গ্রেপ্তার জুলমত - সংগৃহীত

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২২ | ১০:৪৭ | আপডেট: ০১ জুন ২০২২ | ১০:৪৭

কয়েক মাস ধরে সিলেটে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছিল ফেঞ্চুগঞ্জের জুলমত অপহরণের ঘটনা। সম্প্রতি মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে অপহৃত জুলমতকে উদ্ধারের জন্য পিবিআইকে নির্দেশও দেন জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক। এরপর জুলমতের সন্ধানে নামেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা। ৭ মাসের তদন্তে আলোচিত অপহরণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের পাশাপাশি কথিত অপহৃত জুলমতকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

পিবিআই জানায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব যুধিষ্ঠিপুর গ্রামের বাসিন্দা জুলমতকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর সিলেটের আদালতে একটি মামলা করেন তাঁর স্ত্রী লিপি বেগম। মামলায় একই গ্রামের রুফই মিয়া, তখই মিয়া ও জিলু মিয়াকে আসামি করা হয়। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় পিবিআইকে। তদন্তের পর তারা জানতে পারে, ঘটনাটি সাজানো নাটক। এরপরপরই তাদের কাছে বিষয়টি খোলাসা হতে থাকে। এক পর্যায়ে তদন্তে বেরিয়ে আসে জুলমত অপহরণ ও নিখোঁজের বিষয়টি।

পিবিআই জানায়, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের স্বামীকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা করেন লিপি বেগম। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে চট্টগ্রামে চলে যান জুলমত। সেখানে গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর স্ত্রী সিলেট আদালতে রুফই, তখই ও জিলু মিয়াকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন। পিবিআই গত রোববার আত্মগোপনে থাকা জুলমতকে চট্টগ্রামের চকবাজার থেকে উদ্ধার করে। সোমবার তাঁকে পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

পিবিআই সূত্র জানায়, জুলমত পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন দুবাই ছিলেন। প্রবাস থেকে দেশে ফিরে মাছ ধরার ছাইয়ের ব্যবসা করতেন। এক সময় তিনি ব্যবসা করার জন্য এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধারদেনা করেন। ব্যবসায় লোকসান হলে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এছাড়া একটি এনজিও সংস্থার কাছ থেকে কিস্তি তুলেন জুলমত, যাঁদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তাঁরা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে তিনি টাকা দিতে গড়িমসি করেন। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবেন।

সিলেট জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জুলমত জানিয়েছেন, তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি। ঋণ করা টাকা দিতে না পারায় কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে সিলেট আদালতে অপহরণের মামলা করেন।

আরও পড়ুন

×