ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

নড়াইলে প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষে মারামারি

নড়াইলে প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষে মারামারি

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারি

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৪:৫৭ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৫:০৮

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রস্তাবক সমর্থকসহ চারজনকে মারধর ও দু’সদস্য প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। 

সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী নেতা অ্যাডভোকেট সোহবার হোসেনসহ আ’লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদপ্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের কাজ চলছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাধারণ-২নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী খোকন সাহা ও অপর প্রার্থী ওবায়দুর রহমান দু'জনই তালা প্রতীক দাবি করেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এর কয়েক মিনিট পর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ সরকারি দল সমর্থিত সাদি, জয়, পারভেজসহ সরকারদল সমর্থিত কয়েক যুবক সম্মেলন কক্ষে অবস্থান করা সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারীসহ কয়েকজনকে কিল-ঘুষি ও চেয়ার দিয়ে মারতে দেখা যায়। তখন কিছু সময় প্রতীক বরাদ্দের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, আমি এবং অপর প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু প্রতীক হিসেবে আনারস দাবি করি। তখন আমার লোকদের সঙ্গে লিটুর সমর্থকদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু এ ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাংখিত উল্লেখ করে বলেন, প্রতীক আনতে যাওয়া আমার প্রস্তাবকারী মো. শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী সৈয়দ নওয়াব আলীসহ চারজনকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নিতে এ ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচারও দাবি করেছেন।

সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন,প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে সামান্য অনাকাংখিত ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জসিম উদ্দিন হামলা ও মারামারির ঘটনা স্বীকার করে বলেন, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের নির্দেশে প্রায় আধা ঘন্টা প্রতীক বরাদ্দের কাজ বন্ধ থাকলেও পরে আবার শুরু করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান, যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাংখিত। আমরা ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এছাড়া দু’সদস্য প্রার্থীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে ২৪ঘন্টার মধ্যে জবাব দিতে হবে। জবাব পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×