পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি বাতিল দাবিতে ঝাড়ু মিছিল

ছবি- সংগৃহীত।
কটিয়াদী ও মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২২ | ১০:৩৬ | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ | ১০:৩৬
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে আজ শনিবার ঝাড়ু মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ঘোষিত উপজেলা কমিটিকে 'পকেট কমিটি' আখ্যায়িত করে তাঁরা ওই কর্মসূচি পালন করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে নবগঠিত কমিটি বাতিলের আহ্বান জানান। এর আগে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেন ছাত্রলীগ নেতা আরমিন মিয়া। নতুন কমিটিতে তাঁকে ১নং সহসভাপতি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ ও পরে ঝাড়ু মিছিল করেন। এ সময় তাঁরা 'বাপ-বেটা মিইল্লা, পাকুন্দিয়া খাইছে গিইল্লা', 'পকেট কমিটি মানি না, মানব না', ইত্যাদি স্লোগান দেন। পরে মিছিল নিয়ে সদর বাজার প্রদক্ষিণ শেষে নেতাকর্মীরা কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা টায়ার জ্বালিয়ে যানচলাচল বন্ধ কর দেন। সড়কের দু'পাশে গাড়ি আটকে যায়।
এরপর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, সাকিবুল হাসান মুন্না, নাফিজ আহমেদ নাদিম, রাকিবুল হাসান হৃদয়, রাকিবুল হাসান হিমেল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, সম্মেলন ছাড়াই পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটির সভাপতি নাজমুল আলম বিএনপি ঘরানার লোক। তাছাড়া এ কমিটিতে অপরিচিত, অছাত্র ও বিবাহিত লোক রয়েছে। এ কমিটি অবিলম্বে বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে একটি নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানান তাঁরা। দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
তবে পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্যঘোষিত কমিটির সভাপতি নাজমুল আলম বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কখনও ছাত্রদলের রাজনীতিতে ছিলাম না। আমাকে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল।'
যা বললেন ছাত্রলীগ নেতা: পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের ১নং সহসভাপতি আরমিন মিয়া গত শুক্রবার দুধ দিয়ে গোছল করে ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি আপলোড করেছেন আরমিন নিজেই। সেই পোস্টে অনেকে তাঁকে দুঃসময়ের ত্যাগী এবং কারানির্যাতিত নেতা উল্লেখ করেন। তাঁকে মূল্যায়ন না করায় দুঃখ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন। কেউ কেউ রাজনীতি ত্যাগের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ভিডিওর ক্যাপশনে আরমিন লেখেন, '১২ বছর ছাত্রলীগে থেকে আমার অর্জন ৭টা মামলার আসামি ও পুলিশের হয়রানি। বিদায়বেলায় পেশাগত পঙ্গুত্ব ও শূন্য পকেটে দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি থেকে বিদায় নিলাম। বিএনপি থেকে আসা কারও কাছে আত্মসমর্পণের চেয়ে বিদায় নেওয়া বেটার সিদ্ধান্ত।'
অভিমানী আরমিন বলেন, 'আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। আরও ৫ প্রার্থীর মধ্যে আমি সিনিয়র। আমাকে সহসভাপতির পদ দিয়ে হেয় করা হয়েছে। নিজেকে কলঙ্কমুক্ত করতে দুধ দিয়ে গোসল করেছি। রাজনীতিতে ছিলাম, আছি, থাকব।'
- বিষয় :
- ঝাড়ু মিছিল
- আওয়ামী লীগ
- ঢাকা
- কিশোরগঞ্জ