ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নারী সহকর্মীর

কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নারী সহকর্মীর

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী- সমকাল

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২২ | ০৭:৩০ | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ | ০৭:৩০

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আউটসোর্সিংয়ে বাবুর্চি পদে চাকরি করতেন এক নারী। ওই ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত ও আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা ড. মোখলেছুর রহমান তাকে দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করাতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয় ওই নারীকে।

চাকরি ফিরে পেতে ১০ মাস ধরে নানা দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। এর পরও সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে কর্মরত অবস্থায় তার সঙ্গে ঘটিত অন্যায়ের বিচার চান।

মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করেন, ২০০৩ থেকে '১১ সাল পর্যন্ত মোরেলগঞ্জের তুলাতলায় অবস্থিত মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সুইপার ও আয়া পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে '১৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত 'প্রমোশন অব জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট' প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ মহিলবিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে রাঁধুনি পদে কাজ করেন। ওই বছরের ১ জুলাই থেকে মোরেলগঞ্জে মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আউটসোর্সিংয়ে বাবুর্চি পদে চাকরি শুরু করেন। সেখানে তার সঙ্গে অন্যায় আচরণ শুরু করেন ওই ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত ও আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা ড. মোখলেছুর রহমান। অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মারধরও করেন। পরে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। একই পরিণতি হয় ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত তার স্বামীরও।

ভুক্তভোগীর ভাষ্য, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজন নারী কর্মী অসদাচরণের অভিযোগ করেন। এক কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বাগেরহাট আদালতে মামলাও করেছিলেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ড. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ওই নারী আউটসোর্সিংয়ে চাকরি করতেন। তারা চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে। এখানে আমার কোনো ভূমিকা নেই।’ আদালতে হওয়া মামলা ও তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর মীমাংসা হয়েছে বলেও দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন

×