ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মাকে খুনে পিতার সহযোগী ছেলে

মাকে খুনে পিতার সহযোগী ছেলে

গ্রেফতার মো. আলাল উদ্দিন -সমকাল

টাঙ্গাইল ও মির্জাপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৪৯ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:৫৮

প্রতিপক্ষ বড় ভাইকে ফাঁসানোর জন্য নিজের স্ত্রীকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। এ খুনে তার সহযোগী ছিল নিহতের ছেলে ও ভাতিজা। এমন বর্বরতা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে।

গত সোমবার মির্জাপুর থানা পুলিশ উপজেলার আজগানা বিল থেকে সুফিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে। ঘাতক স্বামী মো. আলাল উদ্দিন বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন বর্বরতার কথা জানায়।

এর আগে সোমবার রাতে আলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে বুধবার অভিযান চালিয়ে ছেলে শরীফুল ও ভাতিজা স্বপনকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার মির্জাপুরের আজগানা এলাকার বিল থেকে সুফিয়া বেগম নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন নিহতের ভাই মেছের আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বিভিন্ন সোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী আলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, আলাল উদ্দিনের সঙ্গে তার বড় ভাই মিনহাজ উদ্দিনের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ছিল। এ ছাড়াও তার স্ত্রী বিভিন্ন এনজিও থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণও নিয়েছিলেন, যা পরিশোধ করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এতে সে ফন্দি আঁটতে থাকে, কীভাবে দুটো সমস্যা থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়। তখন সে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এতে ঋণ থেকে মুক্তি মিলবে; বড় ভাইকেও মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া যাবে।

মির্জাপুর থানার ওসি মো. সায়েদুর রহমান জানান, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আলাল উদ্দিন নিজের বড় ছেলে মাদকাসক্ত শরীফুল ইসলাম ও নিহত সুফিয়া বেগমের ভাই কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে স্বপন মিয়াকে টাকা ও জমির লোভ দেখায়। পরে আলাল উদ্দিন গত শনিবার রাতে শরিফুল ও স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে সুফিয়া আক্তারকে বিলে নিয়ে চুবিয়ে হত্যা করে লাশ কচুরিপানার নিচে রেখে দেয়।

ওসি জানান, এক ঘাতক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি দুই ঘাতককে শুক্রবার রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, দুই দিনের মধ্যে হত্যারহস্য উদ্‌ঘাটন করে মূল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। হত্যার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি-না, তা তদন্ত করে অতি দ্রুত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হবে।

আরও পড়ুন

×