এক কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে ৩৭ জন

প্রতীকী ছবি
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৭:২৬ | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৭:২৬
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৭ ব্যক্তি। তবে এলাকাবাসীর তথ্যমতে, কামড় খাওয়া লোকের সংখ্যা ৬০-এর ওপর। ৩৭ জনের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে কুকুরটির তাণ্ডব। ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাইল পৌর এলাকার কয়েকটি গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে পৌর এলাকার ফতেহপাড়া ও রতনপুর এলাকায় ৮ থেকে ১০ জন লোককে কামড় দেয় কুকুরটি। পরে লোকজন লাঠি নিয়ে ধাওয়া করলে কুকুরটি ঘাটাইল উত্তরপাড়া এলাকায় চলে আসে। সেখানেও কয়েজনকে কামড় দেয়।
উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা রঞ্জু মিয়া জানান, শুরুতে তার বাবা জুলহাস উদ্দিনকে কামড় দেয় কুকুরটি। এর পর আরও অনেককে কামড় দিয়ে চলে যায় ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড হয়ে কলেজ মোড়ের দিকে। তার দাবি, এর পরই তার পক্ষ থেকে পাগল কুকুরের বিষয়ে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়।
ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াজেদ আলী জানান, সেখানেও প্রায় ১০ জনকে কামড় দেয়। কুকুরটি এর পর চলে আসে কলেজ মোড়ে। এখানকার কয়েকজন জানান, স্থানীয়সহ ঢাকাফেরত কয়েকজনকে কামড়িয়েছে কুকুরটি। পরে সেখান থেকে পৌরসভার চান্দুশী গ্রামের দিকে চলে যায়।
চান্দুশী গ্রামের মো. কায়সার বলেন, শুরুতে ঘাটাইল সরকারি জিবিজি কলেজ গেট-সংলগ্ন ঢাকা কম্পিউটারের মালিক লিটনকে কামড় দেয়। এর পর আরও অনেককে কুকুরটি কামড় দিয়েছে বলে শুনেছেন।
রাতে চান্দুশী গ্রামের কোথাও লুকিয়ে থেকে আবার শুক্রবার সকালে ঘাটাইল উত্তরপাড়া এলাকায় গিয়ে একজনকে আক্রমণ করে। পরে স্থানীয়রা লাঠিসোটা নিয়ে কুকুরটিকে পাকড়াও করে। ঘাটাইল স্কুল খেলার মাঠে নিয়ে কুকুরটিকে মারতে সক্ষম হন তারা। পরে পৌর কর্তৃপক্ষ মৃত কুকুরটি নিয়ে গেছে।
এ ধরনের আরও একটি কুকুরের আবির্ভাব হয়েছে বলে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জানিয়েছেন পৌরসভার ঝরকা এলাকার লোকজন। ওই কুকুরটিও নাকি অনেককে কামড় দিয়ে ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড দিকে চলে এসেছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া।
ঘাটাইল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রেজওয়ানা হায়দার সমকালকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৭ জন কুকুরে কামড় দেওয়া রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতস্থান দেখে ইনজেকশন ও খাওয়ার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালেও হাসপাতালে এ ধরনের তিনজন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, সরকারিভাবে কুকুর নিধন নিষিদ্ধ। কুকুর যেহেতু পাগল হয়েছে, তাই সেই কুকুর নিধনের জন্য মাঠে পৌরসভার লোক কাজ করছে। পাশাপাশি মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।
- বিষয় :
- টাঙ্গাইল
- ঘাটাইল
- কুকুরের কামড়
- কুকুর